বাঁচাতেই হবে পরিবেশ। সেই জন্য ফের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব মলয় দে। তাতে থাকবেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার, নগরোন্নয়ন, পঞ্চায়েত, কৃষি, মৎস্য, সেচ, বন ও পরিবেশ দফতরের সচিবেরা। পরিবেশ রক্ষায় কী পদক্ষেপ করা উচিত, সেই বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেবে মুখ্যসচিবের ওই কমিটি।
বৈঠকের পরে হরিদেবপুরে একটি পুজোর উদ্বোধনে পরিবেশ-প্রসঙ্গ টানেন মুখ্যমন্ত্রী। বুঝিয়ে দেন, অবহেলা করলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবকে বলেছি, পরিস্থিতি মোকাবিলার পথ বার করতে হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে পুরসভাকেও।’’
সকলের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘শুধু রাস্তা ঝাঁট দিয়ে লাভ নেই। মন এবং মানসিকতা পরিষ্কার করতে হবে।’’ পুজো উদ্বোধনে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, বেহালা অঞ্চলের একটি পুকুর জঞ্জালে ভরে গিয়েছে। উদ্বোধনী মঞ্চে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন পুকুরে জঞ্জাল ফেলা হবে? কোনও ভাবনাচিন্তা নেই কেন?’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি সোমবার বাগবাজারের পুজো উদ্বোধনে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি শিশুকে শৌচকর্ম করতে দেখেন। তখনই পুলিশকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘‘এ-সব বন্ধ করতে হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, চার দিকে এত শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে এ কাজ হবে কেন? গঙ্গাদূষণ নিয়েও পুরসভাকে কড়া বার্তা দেন মমতা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গা পরিষ্কার হচ্ছে না। জঞ্জাল পড়ছে। পুরসভা পরিষ্কার করতে পারছে না। শেষ বারের মতো বলছি। বারবার বলব না। এতেও কাজ না-হলে অন্য ভাবে ভাবতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মানুষের অঙ্গ যেমন অন্যের জীবন বাঁচায়, তেমনই পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান পুনর্ব্যবহার করে পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব। উষ্ণায়ন ও দূষণ সকলের কাছে রীতিমতো একটা হুমকি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy