জিরাটের চর খয়রামারির সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়। — নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের কয়েক ফুট দূরে গঙ্গা। যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। হুগলির বলাগড়ের জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই চর খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরানোর নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নতুন স্কুল তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মঙ্গলবার বলাগড়ের সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে জানতে বুধবার হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন এবং জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে তলব করেন তিনি। পাশাপাশি এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের নির্দেশও দেন। বুধবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ক্লাস বন্ধ না করে স্কুলটি কোনও অস্থায়ী জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে। এ জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি এও নির্দেশ দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন স্কুল তৈরি করতে। বুধবার বিচারপতি গঙ্গার ধারে স্কুল না চালানোর পরামর্শ দেন। গঙ্গার জল বাড়লে স্কুলবাড়ি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই প্রয়োজনে চালা করে ক্লাস করানোর পরামর্শ দেন। কত জন পড়ুয়া স্কুলে আসে সেই তথ্য নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী বিশ্বরূপ বসুমল্লিক সওয়াল করেন, ‘‘আমরা নতুন স্কুল তৈরির সব রকম চেষ্টা করছি। জমির অভাবে এত দিন কাজ এগনো যায়নি। কারণ, যে জমি পাওয়া গিয়েছে তাও নদীর ধারে।’’এখন নিরাপদ এলাকায় ক্লাস করানো হয় বলেও যুক্তি দেন তিনি।
আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার হাজির হন হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান শিল্পা নন্দী। তিনি আদালতকে জানান, ওই স্কুলে তিন জন শিক্ষক রয়েছেন। ১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শীঘ্রই নতুন ভবন তৈরি হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ওই জেলার স্কুল পরিদর্শক তপনকুমার বসু। আদালতে উপস্থিত হয়ে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুচন্দ্রা রায় আদালতকে জানিয়েছেন, গঙ্গার দিকের অংশে ক্লাস করানো হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy