ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনোত্তর হিংসার তদন্তে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) সদস্য নিয়োগ থেকে কাজকর্ম পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্ট
অসন্তুষ্ট। সিটের তদন্তের বিষয়ে হাই কোর্ট নিযুক্ত নজরদার, প্রাক্তন বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের সঙ্গে কেন কোনও আলোচনা করা হয়নি, কেন তাঁর সঙ্গে কোনও সমন্বয় নেই, সেই প্রশ্ন তুলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
মামলায় তদন্তের অগ্রগতির প্রাথমিক রিপোর্ট এ দিন হাই কোর্টে জমা দেয় সিট। তাদের পাশাপাশি ভোট-পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সিবিআই-ও একটি রিপোর্ট দিয়েছে। তবে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে উচ্চ আদালত এ দিন কিছু বলেনি। রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সিটের তিন শীর্ষ কর্তা সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র ও রণবীর কুমার হাই কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশে হাই কোর্টের নির্দেশ, স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করুক সিট।
এবং আদালত না-ডাকলে আসার প্রয়োজন নেই। সিটে সাহায্যকারী হিসেবে ১০ জন আইপিএস অফিসারকে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিটের প্রধানেরা নিজেদের পছন্দমতো অফিসারদের নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য ওই ১০ জন অফিসারকে নিয়োগের সময় সিটের নজরদারের সঙ্গে আলোচনা কিংবা সিটের কোনও অনুরোধপত্রের উল্লেখ করেনি। রাজ্য সরকার নিজেদের পছন্দমতো ওই ১০ জনকে নিয়োগ করেছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।
মামলাকারীদের তরফে এক কৌঁসুলি এ দিন আদালতে জানান, সিটের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে সরকারি প্যানেলের আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। এ বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাক্তন বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের সঙ্গে কোনও আলোচনা কিংবা তাঁর কোনও পরামর্শ নেওয়ার কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। কেন তাঁর সঙ্গে সমন্বয় রাখা হচ্ছে না, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। বিচারপতি চেল্লুর এখন কর্নাটকে আছেন।
কর্নাটক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।উচ্চ আদালত এই মামলায় রাজ্য সরকারের মনোভাব নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যাঁরা ভোট-পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এ দিন সেই ব্যাপারে আদালত রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলে সরকারের আইনজীবী জানান, তাঁর কাছে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য
নেই। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছে, এত গা-ছাড়া মনোভাব কী ভাবে হতে পারে!
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। সেই সূত্রেই এই মামলাটি স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল। যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টে ৭ অক্টোবর মামলাটির শুনানি ধার্য হয়েছে। শীর্ষ আদালত কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশও দেয়নি। তাই মামলা স্থগিত রাখা যাবে না। আগামী ৮ নভেম্বর হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “হাই কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ স্বাভাবিক। বিষয়টিতে কোনও স্বচ্ছতা নেই। সিট কোথায় কাজ করছে, আমরাও জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy