Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

যাবজ্জীবন দণ্ডিতকে জামিন হাইকোর্টের

গৌতম মণ্ডল নামে ওই যুবকের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল ও শ্রেয়সী বিশ্বাস জানান, তাঁদের মক্কেল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় বড়গোদার বাসিন্দা। ময়না-র বাসিন্দা সুন্দরী খালুয়ার সঙ্গে ২০১১ সালে তাঁর বিয়ে হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৪:৪৯
Share: Save:

শ্বশুরকে খুনের দায়ে এক যুবককে গত বছর যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল তমলুক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলা করেন ওই যুবক। জামিনের আবেদনও জানান তিনি। সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই যুবকের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

গৌতম মণ্ডল নামে ওই যুবকের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল ও শ্রেয়সী বিশ্বাস জানান, তাঁদের মক্কেল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় বড়গোদার বাসিন্দা। ময়না-র বাসিন্দা সুন্দরী খালুয়ার সঙ্গে ২০১১ সালে তাঁর বিয়ে হয়। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ২০১২ থেকে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন সুন্দরীদেবী। ২০১৪-র ১৯ জানুয়ারি রাতে সুন্দরীর বাবা নারায়ণচন্দ খালুয়া নিজের বাড়িতেই খুন হন।

আইনজীবীরা জানান, সুন্দরীর মা প্রতিমাদেবী, সুন্দরী ও তাঁর ছোট ভাই পুলিশে অভিযোগ করেন, গৌতম তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে নারায়ণচন্দকে ছুরি মেরে খুন করেছেন। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে ও খুনের মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশ নারায়ণচন্দের স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেকে সাক্ষী করেছিল।

আপিল মামলার শুনানিতে গৌতমের আইনজীবীরা বলেন, তদন্তকারী অফিসার সাক্ষীদের বিবৃতি নথিভুক্ত করেননি। গৌতম যে তাঁদের সামনেই তাঁর শ্বশুরকে খুন করেছেন, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও তা গোপন জবানবন্দি দিয়ে কোনও সাক্ষী জানাননি। সওয়ালে আইনজীবীরা আরও জানান, যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয় বলে পুলিশের দাবি, সেই ছুরি উদ্ধারের সময় কোনও সাক্ষী ছিলেন না। বরং পুলিশ ছুরি উদ্ধারে যাঁদের সাক্ষী করেছে, তাঁরা নিম্ন আদালতে জানান, তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE