জল দিবসে পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: এপি
এমন প্রতিশ্রুতি তিনি দেন না, যা পালন করা যায় না। দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর মতে, দেশে এমন অনেক দল আছে, যারা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু সরকারে এসে তা পালন করে না।
শুক্রবার দুপুরে রাজ্য সরকারের ‘জল দিবস’ উপলক্ষে জোড়াসাঁকো থেকে গাঁধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল শেষে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী ফিরে যান ২০১১ সালের এক ঘটনায়। মমতার কথায়, ‘‘তখনও আমরা সরকারে আসিনি। ইস্তাহার তৈরি হচ্ছিল। অমিতদা (অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র) বললেন, আমরা ৫০ হাজার পুকুর কাটব। তখন ভেবেছিলাম এত পুকুর কাটতে পারব তো? কোনও কোনও দল আছে যারা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সরকারে এলে আর কিছু করে না। আমি কোনও দিন সে কাজ করিনি।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য তাঁর সরকার প্রথম পাঁচ বছরে দেড় লক্ষ পুকুর কেটেছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ। ভবিষ্যতে আরও পুকুর কাটা হবে। মমতা মনে করিয়ে দেন, সরকারে এসেই বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্প শুরু করেছিল তাঁর সরকার। এখন তার সুবিধা মিলছে। চেন্নাইয়ের মতো শহরে যখন জল নিয়ে তীব্র হাহাকার, তখন পশ্চিমবঙ্গে এখনও সমস্যা নেই। বন্যাও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতেও যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। এবং সে কারণেই ‘জল দিবসে’র পরিকল্পনা। প্রতি বছর ১২ জুলাই সরকার জল দিবস পালন করবে বলেও শপথবাক্য পাঠ করান মুখ্যমন্ত্রী।
এই ধরনের ‘দিবসে’র প্রয়োজনীতা নিয়েও তাঁর অভিমত জানান মমতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০১৩ সালে মাটি দিবস শুরু করি। দেশের অন্য কোনও সরকার মাটি নিয়ে ভাবেনি। আমরা শুরু করার পরে ২০১৫ সালে আমাদের অনুসরণ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মাটি দিবস শুরু করে।’’ শুধু তা-ই নয়, কন্যাশ্রী প্রকল্পও বিশ্বের দরবারে কী ভাবে সমাদৃত হয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতার দাবি, ‘‘এখনও বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা বিশ্ব তা ভাবে আগামী কাল।’’
শুধু জল নয়, পরিবেশ রক্ষার জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথাও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে আসে। জানান, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির আলো তিনি জ্বালিয়ে রাখেন না। এর জন্য আত্মীয়স্বজনেরা কখনও কখনও তাঁকে ‘কিপ্টে’ বলেন। কিন্তু মমতা পাল্টা তাঁদের বোঝান, বিদ্যুৎ বাঁচানো মানে পরিবেশ বাঁচানো। জল সংকট নিয়ে তাঁর আশঙ্কা, পৃথিবী যে ভাবে চলছে, তাতে আগামী দিনে পেট্রোলের চেয়ে জলের দাম বেশি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘অসুখ ফেলে রাখতে নেই। রোগের লক্ষণ দেখলেই ব্যবস্থা নিতে হয়। সেই চেষ্টাই করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy