রাতেও কলকাতায় বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। —ফাইল চিত্র।
রাতেও বৃষ্টি চলবে কলকাতায়। সারা দিনে প্রায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে শহরে। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ক্যানিংয়ে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ ৯২ মিলিমিটার। গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার কারণেই এই বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখভার। বৃষ্টি চলছে কখনও মুষলধারে, কখনও ঝিরঝিরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেও আবহাওয়া একই রকম থাকবে। বরং, রাতে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
শুক্রবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে শহরে। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে সাতটি জেলায়। তার মধ্যে রয়েছে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং বীরভূম।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ক্যানিংয়ে। এ ছাড়া, ডায়মন্ড হারবারে ৮৫ মিলিমিটার, মগরায় ৫৮ মিলিমিটার, সাগরদ্বীপে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতায় সারা দিনে বৃষ্টির পরিমাণ ৩০ মিলিমিটার। দমদমে ৩২ মিলিমিটার, উলুবেড়িয়ায় ২১ মিলিমিটার, বাঁকুড়ায় ৩৩ মিলিমিটার, শ্রীনিকেতনে ১৪ মিলিমিটার, সল্টলেকে ৩৩ মিলিমিটার, কাঁথিতে ২০মিলিমিটার, কলাইকুন্ডায় ৪১ মিলিমিটার, পানাগড়ে ৪৬ মিলিমিটার এবং ব্যারাকপুরে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি কম ছিল।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি অবস্থান করছিল, বৃহস্পতিবার তা আরও কিছুটা পূর্ব দিকে সরেছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান গাঙ্গেয় বঙ্গ এবং সংলগ্ন দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তা ৭.৬ কিলোমিটার বিস্তৃত। এর সঙ্গেই মৌসুমি অক্ষরেখা রয়েছে, যা গঙ্গানগর, রোহতক, হরদোই, বারাণসী, বাঁকুড়া এবং ক্যানিংয়ের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই দুইয়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy