অবশেষে দক্ষিণবঙ্গের দরজায় হাজির বর্ষা। এই মরশুমে বর্ষার দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কখনও ঝমঝম, কখনও টুপটাপ, মেঘলা আকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৃষ্টিও চলছে সমানতালে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় রবিবার সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বলয়টি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে কলকাতা-সহ সমগ্র দক্ষিবঙ্গেই হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিপাতের জেরে তাপমাত্রার পারদও থাকবে বেশ কমের দিকেই। রবিবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের হেঁচকা টানেই চাঙ্গা বর্ষা
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘‘এই নিম্নচাপের ফলে ঝাড়খণ্ড ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বৃষ্টির ঘাটতিও বেশ কিছুটা কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রিজার্ভারগুলো ভর্তি হলে সেচেও ভাল হবে। কৃষকদের জন্য এটা সুখবর।’’ প্রসঙ্গত এ বছর ৮ জুনের বদলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসে পৌঁছায় ১৭ জুন। কিন্তু, তার পরেও তেমন আঁটঘাঁট বেঁধে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি তাকে। ফলে জুনেই পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার ঘাটতি ছিল ২৮ শতাংশ। তবে এ বার নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের যৌথ উদ্যোগে সেই ঘাটতি অনেকটাই কমবে বলে আশায় হাওয়া অফিস।
গতকাল দিনভর বৃষ্টির আমেজে থাকলেও কলকাতার রাস্তায় জল জমার খবর সে ভাবে মেলেনি। মহাত্মা গাঁধী রোড, যদুবাবুর বাজার, উল্টোডাঙা আন্ডারপাসে অল্প জল জমলেও তা খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে এ দিন সকাল থেকেই বৃষ্টির জেরে রাস্তায় ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। এই নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। টানা বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের নানা এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy