কোভিডের সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রায় শিকেয় তুলেছেন অনেকে। সর্বত্র মাস্ক পরা, ভি়ড়ভাট্টা এড়িয়ে চলা অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের ঘন ঘন ব্যবহারও ভুলতে বসেছেন তাঁরা। এই আবহে নতুন করে এ সমস্ত পুরনো নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, করোনার নয়া রূপের আক্রমণে মৃদু উপসর্গ ধরা পড়ছে। যদিও শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, বয়স্ক এবং কো-মর্বিডদের মধ্যে এর সংক্রমণ হলে কিছু ক্ষেত্রে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। ফলে এই ধরনের মানুষজনকে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। একান্তই যদি ভিড়ভাট্টায় যেতে হয়, তবে ঠিকমতো মাস্ক পরার প্রতি নজর দিতে হবে।
রাজ্যে এই মুহূর্তে সাড়ে ছ’শোর বেশি আক্রান্ত রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। করোনার থাবা এড়াতে সাবান অথবা স্যানিটাইজ়ারের বারংবার ব্যবহারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। শিশুদের মধ্যেও এ অভ্যাস গড়ে তোলার কথা জানানো হয়েছে। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল অথবা তা না থাকলে পরিবর্তে কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা উচিত বলে মনে করিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অন্য দিকে, রাস্তাঘাটে যত্রতত্র থুতু ফেলা অনুচিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কোভিডের টিকাকরণ হয়নি, এমন সকলকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, বয়স্ক এবং কো-মর্বিডেরা যাতে সরাসরি আক্রান্তদের সংস্পর্শে না যান, বিজ্ঞপ্তিতে সে কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়া, গলাব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিয়ে কোভিড পরীক্ষা করানো ছাড়াও সংক্রমিত হলে এক সপ্তাহ বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। শিশু অথবা কো-মর্বিডদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়লে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলেছে তারা। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা কাশির ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দফতরের হেল্পলাইন ১৪৪১৬ নম্বরে ফোন করার কথাও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।