পোষ্য কুকুরের আহ্লাদ ভাষা বোঝা যায় তার লেজ না়ড়ানো দেখে। তার ডাকের ধরনেও লুকিয়ে থাকে রাগ, দুঃখ, খুশি, আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। তা বলে শুধু লেজ নাড়ানো বা ডাকেই সীমাবদ্ধ নয় তার আবেগের বহিঃপ্রকাশ। সারমেয় এবং মার্জারের ভাবনা, আদর, মনিবের প্রতি ভালবাসার ধরন, ভাষা আলাদা। কোন আচরণ দেখে বুঝবেন সে আপনাকে পছন্দ করে, আদর চায়?
পশু চিকিৎসক দীপক সারস্বত বলছেন, সারমেয় এবং মার্জারের আচরণ বুঝলে, তাদের শরীরী ভাষা পড়া সম্ভব হবে। মানুষের মতো তাদেরও যথেষ্ট আবেগ থাকে। নানা রকম আচরণে তা প্রকাশ করে।
পোষ্যের আদরের ভাষা
১। রান্নাঘরে থাকুন বা বৈঠকখানায় বসে আয়েস করুন বা স্নানঘরে যান— পোষ্য যদি সারাক্ষণ পাশে পাশে ঘুরঘুর করে বুঝতে হবে, সে আপনাকে ভীষণ পছন্দ করে। সঙ্গ চায়। সারমেয় হোক বা বিড়াল— মনিব বা বাড়ির লোকের গায়ের কাছে থাকার চেষ্টা তার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। এই আচরণ বোঝায় যে, সে-ও নিজেকে বাড়ির সদস্য ভাবে। সদস্যদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে জন্য চোখে চোখে রাখতে চায়।
২। প্রিয়জনদের যেমন মানুষ উপহার দেয়, পোষ্যও কিন্তু তাদের ভালবাসা প্রকাশে সেটাই করতে চায়। সারমেয় তার প্রিয় খেলনা কিংবা বাইরে হাঁটার সময় ডাল মুখে করে এনে হাতে দিলে বুঝতে হবে সে সেটা দিতে চাইছে। এটা তার ভালবাসার উপহার।
৩। বিড়াল যদি মনিবের গায়ে মাথা ঘষে বুঝতে হবে সে আদর করছে, আহ্লাদ প্রকাশে এমন আচরণ করে তারা। অনেক সময় কুকুরও মাথা দিয়ে হালকা ধাক্কা দেয়। এটাও কিন্তু তাদের আদর-ভালবাসার প্রকাশ। আসলে মানুষের মতো প্রিয়মানুষকে সে যখন জড়িয়ে ধরতে চায়, তখন এমন আচরণ দেখা যায়।

বিড়ালের আহ্লাদ! ছবি:ফ্রিপিক
৪। আপনি হাই তুলছেন, পাশে বসে পোষ্য কুকুরও একই কাজ করছে। দু’জনের হাই তোলাও কিন্তু পারস্পারিক ভালবাসা, সখ্যের লক্ষণ। সাধারণত হাই তুললে, ক্লান্ত বা ঘুমঘুম ভাব বোঝায়। কিন্তু পোষ্যও মনিবের সঙ্গে ক্রমাগত হাই তুললে তার অর্থ আলাদা হতে পারে।
৫। বিড়াল যাঁরা পোষেন, তাঁরা লক্ষ করে থাকবেন বিড়াল কখনও মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ পিটপিট করে। এটাও তার ভালবাসা প্রকাশের লক্ষণ। এই আচরণকে বলা হয় ‘ক্যাট কিস’। বিড়াল সুরক্ষিত, ভাল থাকলে এ ভাবে আহ্লাদের বহিঃপ্রকাশ করে।