Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

‘লোকাল ট্রেন তো চালু হল, কিন্তু আমাদের পেটের কী হবে?’

বুধবার শিয়ালদহ চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে হকারদের সবক’টি স্টল বন্ধ। তবে তা সত্ত্বেও শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত রয়েছেন হকারেরা।

লোকাল ট্রেন চললেও বন্ধ হকারদের রুজির উৎস। —নিজস্ব চিত্র।

লোকাল ট্রেন চললেও বন্ধ হকারদের রুজির উৎস। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৫৭
Share: Save:

লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় ট্রেনের যাত্রীদের যাতায়াতের সুরাহা হলেও হকারদের রুজিরোজগার নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল। লোকাল ট্রেনে বা স্টেশন চত্বরে হকারদের বিক্রিবাটা বন্ধ রাখার নির্দেশে প্রশ্ন উঠেছে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। হতাশায় বহু হকারই প্রশ্ন তুলেছেন, “লোকাল ট্রেন তো চালু হল, আমাদের পেট চলবে কী করে?”

বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় রাজ্যের অন্যান্য স্টেশনের মতো যাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনেও। আগের মতো না হলেও প্রতি ট্রেনে সর্বাধিক ৬০০ যাত্রীর ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল। তবে তাতে রাজ্যের সমস্ত রেল স্টেশনের মতো শিয়ালদহেও হকারদের জায়গা নেই। স্টেশন চত্বরেও জিনিসপত্র বিক্রি করা যাবে না। হকারির জন্য ওঠা যাবে না কোনও ট্রেনেও।

এ দিন শিয়ালদহ চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে হকারদের সবক’টি স্টল বন্ধ। তবে তা সত্ত্বেও শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত রয়েছেন হকারেরা। করোনার আবহে বিক্রিবাটা বন্ধ হলেও ভোর থেকেই যাত্রীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা ভেবে তাঁদের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করছেন। স্টেশন চত্বরে এসে যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করার পরিকল্পনা কেন? উত্তরে একজন হকার বলেন, “কোভিড-১৯ থেকে যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার জন্যই এই কাজ করছি। যাতে যাত্রীরা সুরক্ষিত থাকেন, আমরা স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি।”

আরও পড়ুন: ৭ মাসের ‘ঘুম’ ভাঙা আড়ষ্টতা কাটতেই ভিড়-ব্যস্ততার চেনা ছবি হাওড়া স্টেশনে

আরও পড়ুন: বেলা বাড়তেই উধাও স্বাস্থ্যবিধি, উপচানো ভিড়ে ফিরল লোকাল ট্রেনের চেনা ছবিই


যাত্রীসুরক্ষার কথা ভাবলেও হকারদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় কী ভাবছে রেল তথা রাজ্য প্রশাসন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। লকডাউনের জেরে প্রায় ৮ মাস ধরেই রুজিরোজগার বন্ধ রেল স্টেশনে বিক্রিবাটা করে সংসার চালানো হকারদের। শিয়ালদহ স্টেশনেই প্রায় ১ হাজার হকার রয়েছেন। স্টেশন চত্বরে কারও রকমারি দোকানের পসরা, কারও বা খাবারের স্টল। তবে ‘নিউ নর্ম্যাল’-এ রাজ্য জুড়ে ধীরে ধীরে সব পরিষেবা চালু হলেও হকারেরা যে তিমিরে ছিলেন, তাতেই রয়ে গিয়েছেন।

যাত্রীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় স্টেশন চত্বরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে উপস্থিত হকারেরা। —নিজস্ব চিত্র।

গত ৮ মাসে নানা কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালালেও লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পরও স্বাভাবিক রুজিরোজগার চালু করার অনুমতি মেলেনি হকারদের। একজন হকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এই স্টেশনে হকারি করি। কোভিডের জন্য ৮ মাস ধরে বসে রয়েছি। প্যাসেঞ্জারদের কাছে জিনিসপত্র বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলে। আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা রেল কর্তৃপক্ষ জানেন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy