Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

শিশির কি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন? জানতে চাইলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ

বিচারপতির মুখে এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যান পাটোয়ালিয়া। তিনি কোনও উত্তরই দিতে পারেননি।

বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দ

বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দ নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ২২:৫০
Share: Save:

নন্দীগ্রাম মামলার শুনানিতে বিজেপি-র সাংগঠনিক কাঠামো বুঝিয়েছিলেন। আইনজীবী থাকাকালীন বিজেপি-র হয়ে মামলা লড়ে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছিলেন। এ বার শিশির অধিকারীর বিজেপি-যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে তা নিছকই ‘রসিকতা’ বলেও তিনি জানান।

ত্রিপল চুরির অভিযোগ খারিজের আবেদনে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌম্যেন্দু। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানি হয় বিচারপতি চন্দের এজলাসে। শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া জানান, তাঁর মক্কেলরা দলবদল করার কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি শুভেন্দু এবং সৌম্যেন্দু কবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন তা উল্লেখ করেন। এবং তার পরই যে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা তুলে ধরেন। দলবদলের কথা উঠতেই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি চন্দ প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি জানেন এখন শিশির অধিকারীর অবস্থান কী? তিনি কি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন?’’ বিচারপতির মুখে এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যান পাটোয়ালিয়া। তিনি কোনও উত্তরই দিতে পারেননি। এর পরেই হাসতে হাসতে বিচারপতি চন্দ বলেন, ‘‘মজা করেই জিজ্ঞেস করেছিলাম। এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তার পর ফের সওয়াল শুরু করেন শুভেন্দুর আইনজীবী।

গত বছর ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। কিছু দিন পর দাদার পথেই পা বাড়ান ছোট ভাই সৌম্যেন্দু। শিশির অবশ্য তখনও তৃণমূল ছাড়েননি। পরে মার্চ মাসে প্রথম তাঁকে বিজেপি-র মঞ্চে দেখা যায়। এগরায় অমিত শাহের সভায়। তার পর পূর্ব মেদিনীপুরের অন্য একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চেও দেখা যায় শিশিরকে। তবে বিজেপি-তে যোগ দিলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থও হয়েছে তৃণমূল।

রাজনৈতিক কারণেই শুভেন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানান পাটোয়ালিয়া। তিনি বলেন, ‘‘কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সৌম্যেন্দুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর শুভেন্দুর সঙ্গে এই পুরসভার কোনও সম্পর্ক নেই। তার পর চুরির অভিযোগ করা হয়। এফআইআরে চুরির অভিযোগ নেই। চুরি করতে পারে এমন বলা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ অভিযোগ করেননি যে এঁরা চুরি করেছেন। শুধুমাত্র পুরসভার সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ করছেন।’’

এই মামলার শুনানি ফের বুধবার হওয়ার কথা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE