Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Hanskhali

Hanskhali Case: জেরা, মেডিক্যাল টেস্ট, অতঃপর মুক্ত হাঁসখালির ব্রজের পিতা, সিবিআইকে নিয়ে বিভ্রান্তি দিনভর

ব্রজের তৃণমূল নেতা বাবার গ্রেফতারির খবর রটে যায় মঙ্গলবার দুপুরে।

ব্রজের তৃণমূল নেতা বাবার গ্রেফতারির খবর রটে যায় মঙ্গলবার দুপুরে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাঁসখালি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৭
Share: Save:

হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা দাপুটে তৃণমূল নেতা সমরেন্দু গয়ালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে গোটা দিন চরম নাটকীয়তার সাক্ষী রইল নদিয়ার অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্প।

জল্পনা চলছিল কিছু দিন ধরেই। সেটাই সত্যি হল মঙ্গলবার। সকাল ১১টা নাগাদ কৃষ্ণনগরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্রজের মা-বাবাকে। টানা দু’ঘণ্টা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের। এর পর, বেলা ২টো নাগাদ ব্রজের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় তার মা-বাবাকে। সে দিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য উভয়ের বয়ান দেখে আলাদা করে মেলানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাতে ব্রজ ও তার মা-বাবার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায় বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

এর মধ্যে বেলা তিনটে নাগাদ সিবিআই সূত্রে খবর আসে, গ্রেফতার করা হচ্ছে তৃণমূল নেতা তথা মূল অভিযুক্তের বাবা সমরেন্দুকে। এর পর তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় সিবিআই। গ্রেফতারির পর নিয়ম মেনে সেটাই করার কথা। শক্তিনগর হাসপাতালে বিশেষ বিভাগে শুরু হয় সমরেন্দুর স্বাস্থ্যের প্রাথমিক পরীক্ষা। এ নিয়ে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থেকে বিজেপি নেতারাও তত ক্ষণে ফেসবুকে তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির কথা উল্লেখ করে শাসক দলকে আক্রমণ শুরু করেন। কিন্তু কিছু ক্ষণ বাদেই নাটকীয় মোড়!

সূত্রের খবর, সিবিআই অফিসে রুদ্ধদ্বার কক্ষে পুনরায় জেরা শুরু হয় ব্রজের বাবা-মায়ের। শেষমেশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আচমকা ছেড়ে দেওয়া হয় সস্ত্রীক সমরেন্দুকে।

প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো, তার পর বেলা বাড়তেই ছড়িয়ে যাওয়া গ্রেফতারির কথা। শেষে বিনা শর্তেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া— সব মিলিয়ে সারা দিন টানটান উত্তেজনায় সরগরম হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তপ্রক্রিয়া।

অন্য বিষয়গুলি:

Hanskhali CBI Nadia Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE