Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

আগুনে ক্ষতি, ন্যাপথা ইউনিট বন্ধ পেট্রোকেমে

শুক্রবার পেট্রোকেমিক্যালস্‌-এর ‘মাদার প্লান্টে’র ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটে আগুন লেগে আধিকারিক ও কর্মী-সহ ১৩ জন ঝলসে যান।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৪০
Share: Save:

কারখানার যে অংশে আগুনে ঝলসে গিয়েছেন ১৩জন কর্মী, আপাতত সেই ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস্‌। ভবিষ্যতে সুরক্ষার কথা ভেবে পলিমার তৈরির সময় তাপমাত্রা কমানোর ভাবনাচিন্তাও করছেন কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার পেট্রোকেমিক্যালস্‌-এর ‘মাদার প্লান্টে’র ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটে আগুন লেগে আধিকারিক ও কর্মী-সহ ১৩ জন ঝলসে যান। এইচপিএলের ফ্যাক্টরি হেড অশোককুমার ঘোষ শনিবার বলেন, ‘‘যেখানে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, সেই স্থান মেরামত করতে কিছু দিনের জন্য এনসিইউ শাট-ডাউন করতে হবে।’’ শনিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় ঠিকাকর্মীদের। এক ঠিকাকর্মীর কথায়, ‘‘এমনিতে সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজের সময়। কিন্তু শনিবার সকালেই জানিয়ে দেওয়া হয়, বারোটায় ছুটি হয়ে যাবে। কারণ জানানো হয়নি।’’ কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার যাবতীয় চেষ্টা চলছে। কবে থেকে কাজ শুরু হবে, তা আজ, রবিবারের মধ্যে জানানো যাবে। অশোককুমার ঘোষের কথায়, ‘‘আশা করছি শীঘ্রই কারখানা পুরোদমে চালু করতে পারব।’’

অগ্নিকাণ্ডে জখম ১২ জনই কলকাতায় চিকিৎসাধীন। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার হলদিয়া-কলকাতা ‘গ্রিন করিডর’ করে জখমদের কলকাতায় আনা হয়। কসবা রথতলায় মিনিবাস ডিপোর কাছে এক নার্সিংহোমে ছ’জনকে ভর্তি করানো হয়। বাকি ছ’জন প্রাথমিকভাবে ব্রড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। পরে দু’জনকে সল্টলেকের আইবি ব্লকের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।

কসবার নার্সিংহোমে ভর্তি পুলকানন্দ মাইতির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি ও সল্টলেকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের শরীরের ১৫-৩৫ শতাংশ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সল্টলেকের হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখানে ভর্তি দু’জনের বার্ন ইনজুরির পাশাপাশি স্মোক ইনজুরি রয়েছে।’’ এ দিন জখমদের সঙ্গে দেখা করেন সংস্থার আধিকারিকেরা। উন্নতমানের চিকিৎসায় যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, কসবার নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অসিতবরণ আড়ি জানিয়েছেন, গ্যাসের ফ্লেয়ার লাইনের ভাল্‌ভে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতে ভাল্‌ভ যখন ক্রেন দিয়ে তোলা হচ্ছিল তখন হাইড্রোকার্বন গ্যাস বেরোতে থাকে। ভাল্‌ভ খানিক ওঠার পরই বিস্ফোরণ হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভাল্‌ভের কাছাকাছি যাঁরা ছিলেন তাঁদের আঘাত সবথেকে বেশি। পালাতে গিয়েও অনেকে জখম হন।

আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আসতে শুক্রবার রাত গড়ায়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জানা যায়, পলিমার তৈরিতে যে তাপ অনুঘটক হিসেবে কাজ করে, তার জেরেই বারবার আগুন লাগছে। ফলে, তাপমাত্রা কমানোর পরিকল্পনা হয়েছে বলে সংস্থার এক সূত্রে খবর। উৎপাদন ব্যাহত না-করে কী ভাবে তা করা যায়, সেটাই দেখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Naphtha Haldia Petrochemical Fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy