মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া আগন্তুক হাফিজুল মোল্লাকে নিয়ে ক্রমশ রহস্য বাড়ছে । পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে হাফিজুলের ১১টি সিম কার্ড এবং দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে সোমবার। সেই মোবাইলে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির আশপাশের বেশ কিছু ছবিও ছিল বলে সূত্রের খবর। ফলে প্রশ্ন উঠেছে হাফিজুল কি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার আগে তাঁর বাড়ির চারপাশে রেইকি করছিলেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবং তদন্তের ফলে হাতে আসা অন্য তথ্যের গভীরে পৌঁছতে সোমবার হাফিজুলকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। হাফিজুলের আইনজীবী বিকাশচন্দ্র গুছাইত জানান, এই ঘটনায় আরও তদন্তের প্রয়োজন। তাই হাফিজুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
হাফিজুল সম্পর্কে কী কী তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের? বিকাশ জানিয়েছেন, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এবং আরও কিছু তথ্য মিলিয়ে জানা গিয়েছে, মমতার বাড়িতে ঢোকার ১০দিন আগেও এলাকায় ছিলেন হাফিজুল। কালীঘাট এলাকারই একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ১০ দিন আগের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন শিশুকে লজেন্স এবং কোল্ডড্রিঙ্কস খাওয়াচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার ওই যুবক। যিনি পেশায় একজন গাড়ির চালক। তবে লকডাউনের সময় থেকে কাজ পাচ্ছিলেন না আর।
হাফিজুল সম্পর্কে এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। যেমন গত বছর পুজোর সময় একবার বাংলাদেশে বেআইনি ভাবে ঢুকেছিলেন তিনি। বিহার এবং ঝাড়খণ্ডেও গিয়েছিলেন। জুনের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বর থেকে একটি লোহার রড-সহ গ্রেফতার করা হয় হাফিজুলকে। তবে পুলিশের অনুমান, হাফিজুল মার্চ মাস থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশপাশে ঘোরাফোরা করছিলেন। এমনকি, ওই এলাকায় অনেকের সঙ্গে পরিচয়ও বাড়াচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ এখন হাফিজুলকে হেফাজতে নিয়ে জানতে চাইছে, ঠিক কবে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়ির এলাকায় ঢুকেছিলেন তিনি। গোটা ঘটনায় তিনি একা ছিলেন, না কি তাঁর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিলেন?
হাফিজুলের বাবা জানিয়েছিলেন, ‘ছেলের মাথায় গোলমাল’ আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ার ঘটনাটি কি সেই গোলমালজনিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা? নাকি হাফিজুলের পিছনে অন্য কারও প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে! পুলিশ হাফিজুলকে হেফাজতে নিয়ে সে ব্যাপারে জানতে চাইতে পারে। কারণ সূত্রের খবর, হাফিজুলের বিরুদ্ধে এর আহে ৪৫৮ ধারায় অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়েছিল। তবে এ বার তার সঙ্গে ১২০-র বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা যোগ করা দরকার কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy