Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Jagdeep Dhankhar

Bengal Post-Poll Violence: ভোট পরবর্তী এমন হিংসা দেশে নজিরবিহীন, আক্রান্ত তফসিলিরা, অভিযোগ রাজ্যপালের

ধনখড়ের অভিযোগ, ভোটের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস চলছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ১৪:৫৭
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস চলছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের উপর আঘাত আসছে। দেশে স্বাধীনতার পর থেকে এমন অশান্তি দেখা যায়নি।’’

গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৭ সপ্তাহ কেটে গেলেও রাজ্য সরকার হিংসা ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। তিনি বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি-উপজাতির মানুষ, সাধারণ নাগরিক আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না প্রশাসন।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ করে আছেন?’’

হিংসা থামানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপাল পারমর্শ দিলেও রাজ্য সরকার কোনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ দেখতে গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম উত্তরবঙ্গেই গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। কোচবিহারের শীতলখুচিতে আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার পরেও রাজ্যকে নিশানা করেছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে দিল্লি গিয়ে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকের পরেও তিনি বলেছিলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর এমন ভোট পরবর্তী হিংসা দেখা যায়নি দেশে।’’

ঘটনাচক্রে, সোমবারই ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে দায়ের করা ‘রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি’ খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এ বিষয়ে গত ১৮ জুনের রায় বহাল থাকবে। গত ১৮ জুন হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনা খতিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি দল বা কমিটি গঠন করবে। তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে হিংসার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করবে। তাদের সাহায্য করবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও পুলিশ। কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্টে কী উঠে এল ৩০ জুনের মধ্যে তা আদালতে জমা দিতে হবে। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও অসহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তার দায় নিতে হবে রাজ্যকেই। এই নির্দেশ মানা না হলে আদালত অবমাননার দায়েও পড়তে হতে পারে বলেও রাজ্যকে সতর্ক করেছিল হাই কোর্ট।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE