Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

‘জাতীয় সড়ক তো ঠিকই ছিল, রাজ্য সড়ক কিছু জায়গায় খারাপ ছিল, সেখানে ঝটকা খেতে হয়েছে!’

শুক্রবার সকালে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা পৌঁছন রাজ্যপাল।

ধুলোয় ঢাকা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কনভয় তখন নলহাটিতে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার। ছবি: তন্ময় দত্ত

ধুলোয় ঢাকা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কনভয় তখন নলহাটিতে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার। ছবি: তন্ময় দত্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি ও ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১০
Share: Save:

এই জেলায় তাঁরা যাত্রাপথের বেশির ভাগ জুড়েই ছিল জাতীয় সড়ক। রাজ্য সড়ক পেয়েছেন সামান্যই। সেই সামান্য অংশেই তিনি ‘ঝটকা’ খেয়েছেন বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, জাতীয় সড়ক খুব ভাল। রাজ্যপালের এই মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল শিবির।

শুক্রবার সকালে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা পৌঁছন রাজ্যপাল। তার আগে পানাগড় থেকে ১৪ নম্বর রাজ্য সড়ক হয়ে দুবরাজপুরে রাজ্যপালের কনভয় জাতীয় সড়কে ওঠে। সেই যাত্রাপথ মোটামুটি ৪২ কিলোমিটারের। অন্য দিকে, দুবরাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম পর্যন্ত তাঁর যাত্রাপথ ছিল ১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের এই অংশ খুবই বেহাল। অসংখ্য গর্ত। কোথাও পিচের অস্তিত্বই নেই। ধুলো উড়ে মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে। এ দিন নলহাটি দিয়ে তাঁর কনভয় যখন যাচ্ছে, তখনও চারপাশ ধুলোয় ঢাকা।

রাজ্যপালের মুখে যদিও শোনা গিয়েছে জাতীয় সড়কের প্রশংসা। এ দিন সিউড়ির সার্কিট হাউসে তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক তো ঠিকই ছিল। রাজ্য সড়ক কিছু জায়গায় খারাপ ছিল। সেখানে ঝটকা খেতে হয়েছে!’’ পরে ফরাক্কায় কলেজের অনুষ্ঠানেও তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাস্তা কেমন দেখলেন। তাঁর উত্তর, ‘‘জাতীয় সড়ক দিব্যি ভাল। এ জন্য গডকড়ীজিকে (কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ী) ধন্যবাদ। তবে, রাজ্য সড়ক খুব খারাপ।’’ তার আগে মঞ্চে বলেন, ‘‘ভোর পাঁচটায় গাড়িতে উঠেছি। রাস্তায় এসে খুব লাভ হয়েছে। না এলে জানতে পারতাম না, এখানকার রাস্তা কেমন। আশ্চর্যজনক যে, আমার শরীরের ক্লান্তি অনেক দূর হল।’’

আরও পড়ুন: চিঠি দিল কমিশন, পুরভোট কি এপ্রিলে?

ছবি আঁকছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার ফরাক্কায়।
ছবি: গৌতম প্রামাণিক

যে জাতীয় সড়কের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে নিত্য প্রতিবাদ, অবরোধ, দুর্ঘটনা— তা কী ভাবে নজর এড়াল রাজ্যপালের, প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল। বীরভূমের বাসিন্দা, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘দুবরাজপুরের পর থেকে পুরোটাই জাতীয় সড়ক। সংস্কারের অভাবে তা বেহাল। তার পরও উনি কী ভাবে বললেন জাতীয় সড়ক ভাল, জানি না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্যপালের ভাল করে জেনে মন্তব্য করা উচিত ছিল। বরং অনেক ভাল পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়ক, কারণ সেটা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। জাতীয় সড়কের মতো কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে নয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jagdeep Dhankhar TMC Nabanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy