Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Aparajita Bill 2024

‘অপরাজিতা’ বিলের সঙ্গে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ রাজ্য দেয়নি, তাই আটকে সম্মতি, আচরণে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

নিয়ম অনুযায়ী, ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ ছাড়া রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দিতে পারেন না। ‘অপরাজিতা’ বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও ওই রিপোর্ট না আসায় অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল।

(বাঁ দিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫৫
Share: Save:

রাজ্যের বিধানসভায় ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশ হয়েছে গত মঙ্গলবার। বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী তা গিয়েছে রাজভবনে। কিন্তু বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের আচরণে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অভিযোগ, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠানো হয়নি। যা না থাকলে রাজ্যপাল কোনও বিলেই সম্মতি দিতে পারেন না। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এ কথা জানিয়েছেন রাজভবনের এক আধিকারিক।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজভবনের অভিযোগ, যে কোনও বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরেই বাংলার সরকার এই আচরণ করে। যা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। অর্থাৎ, কোনও বিলের ক্ষেত্রেই ওই প্রয়োজনীয় রিপোর্টটি পাঠানো হয় না বলে অভিযোগ। রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না পাঠিয়ে রাজ্য সরকার পরে বিল পাশ না হওয়ার জন্য রাজভবনের উপর দোষারোপ করে। যা সঠিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী, ওই রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল কোনও বিলে সম্মতি দিতে পারেন না। ‘অপরাজিতা’ বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও কেন রাজ্য ‘হোমওয়ার্ক’ করেনি, কেন ওই রিপোর্ট বিলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।

রাজভবন সূত্রে খবর, ধর্ষণ-বিরোধী বিলটিরও সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, এই বিল আসলে অন্যান্য রাজ্যের অনুরূপ বিলের ‘অনুকরণ’ মাত্র। একই ধরনের বিল আনা হয়েছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যেও। এই ধরনের বিল রাষ্ট্রপতির দরবারে আটকে রয়েছে বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি।

নিয়মানুযায়ী, বিধানসভায় পাশ হওয়া যে কোনও বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু বিল নিয়ে রাজ্যপাল যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন, বা কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই। গত ৩ সেপ্টেম্বর ‘অপরাজিতা বিল’ রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর আপাতত তা রাজভবনে পাঠানো রয়েছে। ব্যতিক্রমী ভাবে এই বিল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারেও পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।

তৃণমূলের পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘যে হেতু রাজভবন বিলের ‘টেকনিক্যাল’ দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তাই এ ক্ষেত্রে যা বলার, স্পিকারই বলবেন। দলের এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE