Advertisement
২৮ জুন ২০২৪
CV Ananda Bose Bratya Basu

‘যাহা চালভাজা, তাহাই মুড়ি’! রাজ্যপাল বোসের উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ ব্রাত্যের

রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে উপাচার্যহীন। সেই সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিবৃতি দিয়েছে রাজভবন।

CV Ananda Bose Bratya Basu

(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস। ব্রাত্য বসু (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৭
Share: Save:

রাজ্যের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যহীন হয়ে রয়েছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের বিস্তর বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছিল। এ নিয়ে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কাছেও জমা পড়ছিল গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। তার পর বৃহস্পতিবার রাজভবন বিবৃতি জারি করে জানায়, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখন উপাচার্য নেই, সেখানে রাজ্যপাল তথা আচার্যই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। বোসের এই সিদ্ধান্তকেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘বাংলা প্রবাদকে তিনি মান্যতা দিলেন। যাহা চালভাজা, তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য।’’

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকা নিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনা করেছিলেন ব্রাত্য। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘‘উপাচার্য নিয়োগ করে এবং না করে—দু’ভাবে নৈরাজ্য তৈরি করা হচ্ছে।’’ রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় নজিরবিহীন সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থারও হুঁশায়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘কোন আইনের বলে উনি এটা করলেন আমি জানি না। মহামান্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’

রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে উপাচার্যহীন, সেই সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাজভবন বিবৃতি দিয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা নানা ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন, উপাচার্য হিসাবে রাজ্যপাল তা দ্রুত সমাধান করার বন্দোবস্ত করবেন। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজকুমার কোঠারিকে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। অর্থাৎ, এখন রাজ্যের মোট ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন।

শিক্ষামহলের অনেকেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যপাল উচ্চশিক্ষায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন। বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলিতে নরেন্দ্র মোদী জমানায় রাজ্যপালদের দিয়ে উচ্চশিক্ষায় সঙ্কট তৈরির অভিযোগ নতুন নয়। কেরল, তামিলনাড়ুতেও একই অভিযোগ করছেন পিনারাই বিজয়ন, এমকে স্টালিন। তবে ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। উনি (রাজ্যপাল) যা যা করছেন, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা দফতর কিচ্ছু জানে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE