রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল আর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। শুক্রবার এ কথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা নিতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।
শুক্রবারের শুনানিতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। অন্য দিকে রাজ্যপালের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী দামা শেষাদ্রি নাইডু। বিচারপতিরা আরও জানান , অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের যা যা আপত্তি রয়েছে, তা পরের শুনানিতে আদালতে জানাতে হবে। পাশাপাশি, সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাখা নিয়ে রাজ্য যে আবেদন করেছিল, তাতে এখনই সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও বোসের মধ্যে সংঘাতের ফলে রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। গত ২১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)-কে তিন থেকে পাঁচ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম সুপারিশ করতে হবে সার্চ কমিটির জন্য। একই সঙ্গে, রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বৈঠকে বসেননি? ওই দিনই বিচারপতি সূর্য কান্ত জানিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যপালের উত্তরের উপর নির্ভর করে বসে থাকবেন না।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সব পক্ষ নাম সুপারিশ করলেও সার্চ কমিটি এখনও তৈরি হয়নি। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই গত ১ অক্টোবর রাজ্যের আরও ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভাবে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন বোস। তাঁদের মধ্যে এক জন আবার অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসার। সেই সময়েই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এর পাশাপাশি, রাজ্যপালের প্রতিনিধি হিসাবে যে চার জনের নাম জমা পড়েছিল, তাঁদের দু’জনের বিষয়েও শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলে মিলেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের শুক্রবারের শুনানিতে বড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy