প্রতীকী ছবি।
জানুয়ারি মাস থেকেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মতো বর্ধিত বেতন পেতে শুরু করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পেনশনভোগীদের বর্ধিত পেনশনের হিসেবও চলছে। এর মধ্যেই সোমবারের বাজেটে বেতন-পেনশন খাতে যা বরাদ্দ হয়েছে, তাতে ইনক্রিমেন্ট-টুকু ছাড়া বাড়তি মহার্ঘভাতা (ডিএ) দেওয়ার সুযোগ নেই বলেই কর্মচারী মহল মনে করছে।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেছি। বাকিটা সুপারিশেই বলা রয়েছে। যতটুকু পারছি, দেওয়া হয়েছে। নেতিবাচক চিন্তা করবেন না, রাজ্যের কথা ভাবুন, ইতিবাচক চিন্তা করুন।’’
বাজেট ঘোষণার পরে কর্মচারী মহলের আলোচনা, নতুন পে-স্লিপে ডিএ-র কোনও উল্লেখই নেই। বাজেটে অর্থমন্ত্রী ডিএ ঘোষণা করবেন বলেই তাঁদের ধারণা হয়েছিল। কিন্তু বরাদ্দ দেখে অধিকাংশ কর্মচারী হতাশ।
আরও পড়ুন: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বর্ধিত পেনশন অধরা
২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে বেতন খাতে যে বরাদ্দ হয়েছিল, চলতি আর্থিক বছরে তার চেয়ে ১৭% বেশি খরচ করছে রাজ্য। নতুন বেতন কাঠামো দিতেই বাড়তি প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে বলে বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে। ২০২০-২১ এর বাজেট প্রস্তাবে বেতন খাতে মাত্র ৮% বৃদ্ধি ধরা হয়েছে। পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও চিত্র প্রায় এক। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি বছরে তাঁদের জন্য ১৪% বাড়তি খরচ হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে ১৩% বৃদ্ধি ধরে রাখা হয়েছে। অর্থ-কর্তারা জানাচ্ছেন, বর্ধিত বেতনের পরে এক বছর ধরে যাঁরা অবসর নেবেন, তাঁদের পেনশন অনেকটাই বেড়ে যাবে। তার সঙ্গে পুরনো পেনশনপ্রাপকদের বৃদ্ধি ধরা হলে এই টাকা ধরে রাখতেই হত।
কর্মচারী মহলের প্রশ্ন, তা হলে কি রাজ্য ডিএ দেবে না? নবান্নের কর্তারা জানিয়েছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন তার সুপারিশে বলেছে, ডিএ কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। আর কোনও রাজ্য ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি পদ্ধতি হুবহু মানতে বাধ্য নয়। রাজ্য নিজস্ব পাইকারি বাজারমূল্য এবং ভোগ্যপণ্যের দামের সূচক তৈরি করে তার ভিত্তিতে ডিএ দিতে পারে। যদিও নবান্ন এমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কর্মচারীদের ডিএ-ভাগ্য আপাতত ঝুলেই থাকছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy