মোর্চার বন্ধে থমথমে দার্জিলিং। চলছে পুলিশি টহল।
মোর্চা সমর্থকদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠা দার্জিলিং এখনও থমথমে। মোর্চার ডাকে চলছে ১২ ঘণ্টার বন্ধ। রাস্তাঘাট শুনশান। প্রায় কোনও যানবাহন নামেনি রাস্তায়। বন্ধ স্কুল, কলেজ। খোলেনি দোকানপাটও। দার্জিলিঙে আটকে থাকা পর্যটকদের নামাতে বাসের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাস।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সকাল থেকেই পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আতঙ্কিত হবেন না। সরকার আপনাদের পাশে আছে।” মোর্চার বন্ধের তীব্র বিরোধিতা করে মমতা বলেন, “কথায় কথায় বন্ধ-অবরোধ বরদাস্ত করা হবে না।” পাশাপাশি দার্জিলিং থেকে কলকাতা পর্যন্ত পর্যটকদের বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মমতার বৈঠক শেষ হতেই পাহাড়ে আগুন, নামল সেনা
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পর্যটকদের দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসার জন্য ৮-১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন সকাল থেকে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে ২ ঘণ্টা অন্তর বাস ছাড়ছে কলকাতার উদ্দেশে। বেলা ১১টা নাগাদ থেকে দফায় দফায় বাস আর টাটা সুমোর মাধ্যমে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে। পর্যটকদের সাহায্যের জন্য জেলাশাসকের অফিসে খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। হেল্প লাইন নম্বর: ০৩৫ ৪২২৫৫৭৪৯২৪। বিক্ষোভে আহত পুলিশকর্মীদের চিকিত্সার দায়িত্ব সরকার নেবে বলে এ দিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। জখম পুলিশকর্মীদের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। ঘটনায় গুরুতর আহত পুলিশকর্মীদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এডিজি (উত্তরবঙ্গ)-র দেহরক্ষীর একটি চোখ ইটের ঘায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। জখম হয়েছেন এডিজি-ও। আশঙ্কাজনক অবস্থা এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কলকাতায় এনে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy