ফের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে গোপাল দলপতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কাছে কিছু নথি চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইডির দফতরে এসেছিলেন গোপাল। এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে যান। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও কিছু নথি তাঁকে আনতে বলা হয়েছে।
তদন্তকারীদের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গোপাল এবং শিক্ষক নিয়োগ দু্র্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মধ্যে কী লেনদেন হয়েছিল, তা এখন ইডির আতশকাচের তলায়। ‘আরমান ট্রেডিং’ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে কুন্তলের সঙ্গে গোপালের লেনদেন হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইডির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথি গোপালকে আনতে বলা হয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিও আনতে বলা হয়েছিল গোপালকে। গত ৩১ জানুয়ারি ইডির দফতরে ডাকা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপসকে। প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল দু’জনকে। তখনই গোপালকে ওই নথি আনতে বলেছিলেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:
ইডির অভিযোগ, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট জনদের পাশাপাশি বিভিন্ন জনের কাছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির টাকা পৌঁছে দেওয়ার সময় কুন্তলের সঙ্গে থাকতেন গোপাল। তিনি নিজেও অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তিহাড় জেলে ছিলেন। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গোপালের নাম ওঠার পর থেকেই তাঁকে খুঁজছিল ইডি। পরে তাপস দাবি করেছিলেন, তিনি জানেন, গোপাল কোথায় রয়েছেন।
তাপস ইডির জেরায় দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সাল নাগাদ বিভিন্ন সময়ে গোপাল প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীদের দেওয়া প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা কুন্তলকে দিয়েছেন। এবং তাঁর ডায়েরিতে সেটা ‘রিসিভ’ করিয়ে রেখেছেন। যদিও প্রথম বার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে তা অস্বীকার করেন গোপাল। তিনি জানান, সব মিথ্যে কথা। টাকা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।