প্রতীকী চিত্র।
বছর চারেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। সেই থেকেই ঘনিষ্ঠতা। বিয়েও ঠিক হয়েছিল তরুণ-তরুণীর। অভিযোগ, এর পরে পণের দাবিতে পাত্রপক্ষের তরফে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হয় তরুণীর বাড়ির লোকেদের। তার জেরে ‘ফেসবুক লাইভ’ করে আত্মঘাতী হলেন নন্দিতা রায় (২১)। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার রাজাপুর এলাকার ঘটনা।
বুধবার নন্দিতার বাড়ির লোকেরা অভিযুক্ত তরুণ ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান, অভিযুক্ত বাবু দাস ও তাঁর মা প্রতিমাকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে নন্দিতা সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশে কর্মরত বাবু অবশ্য ‘ফেসবুক লাইভের’ বিষয়টি দ্রুত বংশীহারি থানায় জানান বলে দাবি করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বংশীহারির সিংহাদহের রাজাপুর এলাকার স্নাতকস্তরের ছাত্রী নন্দিতার সঙ্গে গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ির বাসিন্দা কলকাতা পুলিশে কর্মরত বাবুর ফেসবুকে আলাপ হয়। তা থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। ২৫ নভেম্বর তাঁদের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল।
আরও পডুন: ‘ক্যানসার তো কী? তিন জনের আসনে চার জন চেপে বসুন!’
এ দিন নন্দিতার আত্মীয় মনমোহন রায় অভিযোগ করেন, বিয়ে ঠিক হওয়ার সময় পাত্রপক্ষের তরফে কোনও দাবি নেই বলে জানানো হয়। কিন্তু বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে একের পর পণ ও যৌতুকের দাবি তোলা হয়।
আর্থিক ভাবে দুর্বল কন্যাপক্ষ সেই দাবি মেটাতে পারছিলেন না। ফলে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। বাবাকে লোকলজ্জার হাত থেকে মুক্তি দিতেই নন্দিতা এমন পদক্ষেপ করেছেন বলে দাবি করেন তাঁর বাড়ির লোকজন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাতে বাবুকে জানিয়ে ‘ফেসবুক লাইভ’ করে আত্মহত্যা করেন নন্দিতা। কলকাতা থেকে বাবু বিষয়টি বংশীহারি থানায় জানান। থানা থেকে রাতেই নন্দিতার এক সিভিককর্মীকে পাঠানো হয়। সিভিকের কথা শুনে বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে নন্দিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এসডিপিও দীপকুমার দাস জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy