বয়স্কদের সঙ্গে এলেই মিলছে বিশেষ ছাড়। —নিজস্ব চিত্র।
সঙ্গ দেবেন বয়স্ক মা-বাবা। আর তাতেই রেস্তরাঁর বিলে মিলবে ছাড়! সৌজন্যে উলুবেড়িয়ার এক রেস্তরাঁ। সেখানে ‘অফার’ এমন, যার প্রভাবে মাসের বেশির ভাগ দিনই বাইরে খেতে যাওয়ার সাধ হতে পারে!
পছন্দের মালাইকারি হোক কিংবা ধোঁয়া ওঠা মটন বিরিয়ানি! পাশে যদি প্রিয় জন থাকেন, তা হলে স্বাদের ঘরে যোগ হয় আরও কয়েকটা নম্বর। আর এ সবের সঙ্গে রেস্তরাঁর নরম আলো, বাহারি মোমদানি, তুমুল আতিথেয়তা যদি সঙ্গ দেয়, তবে সে স্বাদ ভাগ করেও আরাম। কিন্তু স্বাদ আর সাধ্যের মধ্যেও বেশ কিছু ফারাক আছে বইকি! এমন আরাম মাঝে মাঝেই চাখতে চাইলে, বুকপকেটে চাপ পড়তে বাধ্য। তবে এ বার সেই চাপও কমে যেতে বাধ্য ‘অফারের’ হাত ধরে। সৌজন্যে উলুবেড়িয়ার ওই রেস্তরাঁ মালিক সমীরন গোস্বামী। তাঁর রেস্তরাঁয় বয়স্কদের সঙ্গে নিয়ে খেতে এলে মিলছে ২০ শতাংশ ছাড়।
হঠাৎ এই ‘অফার’ কেন? সমীরণ বলছেন, “আমাদের এখানে অনেকেই খেতে আসেন, কিন্তু বয়স্কদের সংখ্যা তুলনায় বেশ কম। কিন্তু বাবা-মা, বাড়ির বয়স্করাও তো চান মাঝে মধ্যে রেস্তরাঁয় গিয়ে একটু ভালমন্দ খেতে, আনন্দ করতে। তাই এই ছাড়ের পরিকল্পনা করি। আর সেটা বেশ কাজেও লেগেছে।”
আরও পড়ুন: কেজরীর থেকে শিক্ষা? ভোটের আগে মমতাময়ী বাজেট রাজ্যের
এই ছাড়ের কথা শুনে বাবা-মা, বাড়ির বয়স্কদের নিয়ে অনেকেই সেখানে ভিড় করছেন।
অভিনব এই ছাড়ের কথা শুনে বাবা-মাকে নিয়ে সমীরণের রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়ারই বাসিন্দা শমীক বসু। তাঁর কথায়: ‘‘এটা একটা বাড়তি সুযোগ। বাবা-মাকে নিয়ে গিয়ে খাওয়া হল, আবার কিছু টাকা সাশ্রয়ও হল। এক জন ব্যবসায়ী এমন চিন্তাভাবনা করেছেন, ভাবাই যায় না।’’
শমীকের কাছে এই ছাড়ের কথা শুনে সমীরণের রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু দিব্যেন্দু রায়। তিনিও পরিবারের বয়স্কদের নিয়ে সেখানে চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। খাবারের গুণগতমান নিয়ে খুশি দিব্যেন্দুর পরিবারও। সঙ্গে মোট বিলের অঙ্কে ২০ শতাংশ ছাড়।
আরও পড়ুন: ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী শ্রীরামপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর
চাইনিজ থেকে বাঙালি, মোগলাই— সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায় সমীরণের রেস্তরাঁয়। তিনি জানালেন, ২০০৯ সালে উলুবেড়িয়া স্টেডিয়াম মাঠের কাছে এই রেস্তরাঁ চালু হয়। পরে তা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যায়। বছরখানেক হল নতুন করে চালু হয়েছে ওই রেস্তরাঁটি। ইদানীং এই ছাড়ের কথা শুনে বাবা-মা, বাড়ির বয়স্কদের নিয়ে অনেকেই সেখানে ভিড় করছেন। রেস্তরাঁ নতুন করে চালু করার সময় সমীরণ তাঁর এক বন্ধুর ছেলে রাহুল সাউকে এই ব্যবসায় নিয়েছিলেন। রাহুল হোটেল ম্যানেজমেন্টের ছাত্র। বিভিন্ন বড় হোটেলেও তিনি কাজ করেছেন। এমনকি, বিদেশেও। তাঁকে নিয়েই নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন সমীরণ। ভবিষ্যতেও তাঁর নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানালেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy