প্রতীকী ছবি।
অনলাইনে দেখানো হবে গঙ্গাসাগর মেলা। থাকবে ই-স্নানের ব্যবস্থাও। করোনা অতিমারির জন্য জমায়েত এড়াতে এই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলা অনলাইনে দেখার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। অনলাইনে মেলার পাশাপাশি থাকছে ই-স্নানের ব্যবস্থা।
এ প্রসঙ্গে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা অনলাইনে দেখানো হবে। নতুন হচ্ছে ই-স্নান। এর মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডার করলে দেশের যেকোনও প্রান্তে পবিত্র জল ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো ‘দুয়ারে গঙ্গাসাগর’ পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। তবে এর জন্য ডেলিভারি চার্জ লাগবে ১৫০ টাকা।
গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি। ওইদিন পুণ্যস্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। তবে ১২ জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগর যাত্রা শুরু হবে। শেষ হবে ১৬ জানুয়ারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এ রাজ্যে আসেন। করোনা সংক্রমণকালে এই বিশাল জমায়েত নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রুখতে তাই এ বছর পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ও সতর্কতা। অন্য বছরের তুলনায় মেলার আকারও ছোট হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কোভিড সংক্রমণ রুখতে সোমবার একগুচ্ছ সতর্কতার কথা জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগরের মেলা আমাদের গর্ব। কিন্তু কোভিড থাকার কারণে এ বারে কিছু বিধিনিষেধ থাকছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এই অনুষ্ঠান পালন করা হবে। যারা গঙ্গাসাগরে যাবেন তাদের আগে কোভিড টেস্ট করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তিনি যাওয়ার ছাড়পত্র পাবেন।’’ সমস্ত পূণ্যার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র নীচে, দৈনিক সংক্রমণ ও সুস্থতার হারে উন্নতি
কোভিড পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধের দাবি উঠলেও, মমতা বলেন, ‘‘আমরা মেলা বন্ধ করতে চাই না। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যাতে কম মানুষ আসেন সেই অনুরোধ জানিয়েছি।’’ ভিড় সামলানোর জন্য ৫০ কিলোমিটার ব্যারিকেড, ১০৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ২০টি ড্রোন থাকছে বলেও জানান মমতা। পাশাপাশি কোভিড বিধি নিয়ে সোমবার পুলিশ প্রশাসনকে মমতা নির্দেশ দেন, গঙ্গাসাগর মেলার ১৩টি প্রধান প্রবেশদ্বারে মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করতে হবে। সেখানে থাকবে রেপিড এন্টিজেন ও পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থাও। এ ছাড়া কোভিড চিকিৎসার জন্য ৬০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল, ৬টি ওয়েলনেস সেন্টার, ৮টি সেফ হোম, ১১টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও ৫টি আইসোলেশন সহ থাকবে পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ ও ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স। শুধু তাই নয় এ বছর জরুরি পরিষেবায় গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থাও থাকছে। মমতার মতে, আমাদের লক্ষ্য ইকো-ফ্রেন্ডলি গঙ্গামেলা করা।
আরও পড়ুন: আলিমুদ্দিন ব্রিগেড সমাবেশ করতে চায় কংগ্রেসকে নিয়ে
তাঁর দাবি,‘‘আগের বার ৫০ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন। লোক সমাগমের ব্যাপারে এটা পৃথিবীর অন্যতম বড় মেলা। প্রচুর বাইরের লোক আসেন। তাই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।’’ এ বছর রাজ্যের সরকারের পক্ষ থেকে ‘সাগর বন্ধু’ নামে ৮০০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হয়েছে। যারা পূণ্যার্থীদের সমস্ত রকম বিধিনিষেধ মানতে সাহায্য করবে। কলকাতা থেকে বাস যাত্রাপথে প্রতিটি বাসে ১ জন করে ‘সাগর বন্ধু’ থাকবেন বলে জানান মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy