গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। সোমবার তৃণমূল ভবনে। নিজস্ব চিত্র।
দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যতই মনোমালিন্য থাক, সে সব সরিয়ে রেখে দলকে জেলায় জিতিয়েছেন। তার পরেও মতভেদ মেটেনি, তাই দল ছাড়লেন। সোমবার কলকাতায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে এই কথা জানিয়ে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘আমি যদি ভোটের আগে দল ছাড়তাম, তা হলে গদ্দার বলা হত।’’
সোমবার তৃণমূল ভবনে গঙ্গাপ্রসাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মুকুল রায় ও ব্রাত্য বসু। মুকুলও সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বলা হচ্ছে, ভোটের আগে দল ছেড়ে তিনিও গদ্দারি করেননি। গঙ্গাপ্রসাদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ঠিক মুখে ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলের কিছু নেতা যখন বিজেপিতে যোগ দেন, তখন প্রতিবাদ করেন গঙ্গা। সেই নিয়ে তাঁকে শো-কজ়ও করেন দলীয় নেতৃত্ব। এ দিন গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, “জেলা থেকে নেতাদের কলকাতায় বা দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে দলবদল করানো হল। জেলা নেতৃত্বকে তোয়াক্কাই করলেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু নির্বাচনের সময় দল ছাড়িনি। বরং দলকে পাঁচে পাঁচ ফল দিয়েছি। কিন্তু তখনই আমার সিদ্ধান্ত ছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।”
কলকাতায় গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় সেখানে মৃদুলও ছিলেন। গঙ্গাপ্রসাদের সঙ্গে এদিন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার এক সাধারণ সম্পাদক-সহ সাত নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। মুকুল রায় বলেন, ‘‘এটা উত্তরবঙ্গে বিজেপির শেষের শুরু।’’ জবাবে সিউড়ি থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যে লোকটা তৃণমূলকে শেষ করতে পারে না, সে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলকে কি শেষ করবে?’’ গঙ্গাপ্রসাদকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। তৃণমূল সূত্রে খবর, শীর্ষস্তরে আলোচনা হচ্ছে। জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হয়তো দেওয়া হতে পারে গঙ্গাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy