লম্বা লাইনে অপেক্ষা। ছবি: শৌভিক দে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় (টেট) বসতে ইচ্ছুকদের হয়রানি চলছেই।
শনিবার টেটের ফর্ম নেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিনেও বদলালো না ছবিটা। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, হবু শিক্ষকদের গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া, পুলিশ এবং স্থানীয় কিছু মাঝারি নেতার দাদাগিরি — বাদ গেল না কিছুই। গত কয়েক দিনের মতো এ দিনও ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের হয়রানির ছবি এতটুকুও বদলালো না।
টেটের ফর্ম সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের সরকারি ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। ব্যাঙ্কের ওই শাখার নীচে ফর্ম দেওয়া চলছিল। সেখানে কয়েক জন চাকরি প্রার্থী ব্যাঙ্কের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কান্দি থানায় আইসি সুনয়ন বসু বলেন, “দীর্ঘ লাইনের জন্য সামান্য গোলমাল হয়েছে। সব মিটে গিয়েছে।” বিশৃঙ্খলা হয় বহরমপুরেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়।
ফর্ম বিভ্রাট অব্যহত উত্তরবঙ্গেও। ফর্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে অশান্তির সৃষ্টি হয় মালদহের ইসলামপুরে। সেখানে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ানোর পরও ব্যাঙ্ক পর্যন্ত পৌঁছতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন প্রার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। প্রতিবাদে শনিবার বেলায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। মিনিট দশেক অবরোধ চলার পর পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়। এদিকে ভিড় সামাল দিতে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা থেকেও টেটের ফর্ম বিলি করা হয়েছে। মহিলা প্রার্থীদের জন্য ব্যাঙ্ক লাগোয়া কোতোয়ালি থানায় একটি মাত্র কাউন্টার চালু করা হয়।
শনিবারও যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম পাবেন না, তাঁদের একটি স্লিপ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী বুধবার থেকে সেই স্লিপ দেখালে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে ফর্ম মেলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমছে না ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের। তাঁদের হয়রানির জন্য প্রশাসনিক অব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন হবু শিক্ষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy