Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ৪ ছাত্রছাত্রীর

যাদবপুর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন বাবুল তাঁদের গালিগালাজ করেন এবং গায়ে হাত তোলেন। তার পর থেকে তাঁরা মানসিক ভাবে ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং ভীষণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছেন।

বাবুল সুপ্রিয়।

বাবুল সুপ্রিয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪১
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবারের গোলমালের সময়েই কর্তৃপক্ষকে বারবার পুলিশ ডাকতে বলছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। উপাচার্য তথা কর্তৃপক্ষ অবশ্য পুলিশ ডাকেননি। সেই অশান্তির দু’দিন পরে, শনিবার ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাই।

যাদবপুর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন বাবুল তাঁদের গালিগালাজ করেন এবং গায়ে হাত তোলেন। তার পর থেকে তাঁরা মানসিক ভাবে ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং ভীষণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছেন।

স্নাতকোত্তর সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহন গায়েন, ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তাপস দাস, স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্নাতকোত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুস্মিতা মণ্ডলেরা শনিবার আলাদা আলাদা ভাবে তাঁদের অভিযোগপত্র জমা দেন যাদবপুর থানায়। রবিবার মোহন বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পর থেকে আমরা রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছি। শুধু বাবুলের আচরণেই নয়, পরে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও যে-সব কথা বলেছেন, তাতেও আমরা আতঙ্কিত। তাই থানায় অভিযোগ জানাতে বাধ্য হলাম। আমি চাই বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সেই সঙ্গে সুনিশ্চিত করা হোক আমাদের নিরাপত্তাও।’’

যাদবপুর থানায় অভিযোগকারী পড়ুয়াদের মধ্যে শুভদীপ বলেন, ‘‘বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পরে আমরা ব্যারিকেড করে ওঁর প্রবেশপথ তৈরি করে দিয়েছিলাম। অথচ উনি প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ না-করে আমাদের দিকে নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য ছুড়ে দেন। উনি আমাকে গালিগালাজ করেন এবং ধাক্কা মারেন খুব জোরে।’’ শুভদীপ জানান, তার পর থেকে তিনি মানসিক ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এমন ঘটনা যাতে আর না-ঘটে, সেই জন্যই পুলিশি নিরাপত্তা চান তাঁরা।

ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শুনে বাবুল এ দিন অভিযোগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সাংবিধানিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন অসাংবিধানিক ভাবে এক জন মন্ত্রীকে বিশৃঙ্খলায় আটকে থাকতে হল, সেই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও আপনারা একটা এফআইআর করুন।’’ তার পরেই তাঁর তির্যক উক্তি, ‘‘আমি ওই ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। কোনও বামপন্থীর বাড়িতে ওঁরা আশ্রয় নিন। তা হলে দ্রুত শারীরিক ও মানসিক ভাবে বলিষ্ঠ হয়ে উঠবেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy