সিন্টু দত্ত এবং রিয়া দাস। —নিজস্ব চিত্র।
প্রেমিকের আত্মহত্যার দিন তিনেক পর একই পথ বেছে নেন কিশোরী প্রেমিকাও। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় এক কিশোরীকে ওই পথ বেছে নিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সম্পর্কে ওই কিশোরের আত্মীয়া তথা শাসক দলের নেত্রী মৌসুমী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এই উঠলেও তা নিয়ে পুলিশি পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও দাবি মৃতার পরিবারের। তবে কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বনগাঁ থানার দীনবন্ধু নগর বটতলা এলাকায় রিয়া দাস (১৫)-এর বাড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর তার প্রেমিক সিন্টু দত্ত (১৮)-র আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা করার আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল বনগাঁর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাসিন্দা সিন্টু। দিন কয়েক নিখোজ থাকার পর শুক্রবার বনগাঁ শাখার বিভূতিভূষণ হল্ট এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত কিশোরীর মা টুটু দাসের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের সঙ্গে জোর করে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে চাইত সিন্টু। কিন্তু প্রাক্তন কাউন্সিলর মৌসুমীর আপত্তি থাকায় ওই সম্পর্কে রাজি ছিলেন না তিনি। তাঁর দাবি, এ নিয়ে তাঁদের কুকথা বলতেন সিন্টুর মা। তাঁর আরও অভিযোগ, মৌসুমী নিজেও চাইতেন না দরিদ্র পরিবারের মেয়ের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠুক।
আরও পড়ুন: দু’পয়সার প্রেস! ‘সঠিক’ বক্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী সাংসদ মহুয়া মৈত্র
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেল, দর কষাকষিতে লাভ নেই, নাম না করে শুভেন্দু-বার্তা নেত্রীর
সিন্টু আত্মঘাতী হতেই ওই তৃণমূল নেত্রী তাঁদের হুমকি দিতে থাকেন বলেও দাবি মৃতার পরিবারের। ঘটনার পর নিজের দলবল নিয়ে কিশোরীর বাড়িতে চড়াও হন বলেও অভিযোগ। মৃতার মায়ের দাবি, তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ জানাতে বনগাঁ থানায় গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই মৌসুমী ও তাঁর দলবলের চাপের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অভিযোগ, ওই চাপের মুখে পড়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে কিশোরী।
কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী মৌসুমী। তিনি বলেন, ‘‘আত্মীয় হিসেবে সিন্টুর মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছে দেখলাম, মেয়েটির ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করছে এলাকার লোকজন। আমাদের বাড়ির ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছি। কোনও রাজনীতি করতে যায়নি।’’
গোটা বিষয়ে মন্তব্য না করলেও বনগাঁ থানার পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy