Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর জেলায় তৃণমূলে যোগ দিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

শুভেন্দু অধিকারীর হাতে উঠতেই একে একে শুভেন্দু বিরোধিরা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই তালিকায় প্রথম সংযোজন মামুদ হোসেন।

তৃণমূলে যোগ দিলেন মামুদ হোসেন। —নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলে যোগ দিলেন মামুদ হোসেন। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:০৯
Share: Save:

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মামুদ হোসেন তৃণমূলে যোগ দিলেন। মামুদ ছাড়াও রবিবার তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সৌমেন মহাপাত্রর হাত ধরে দলে ফিরলেন একঝাঁক নেতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিত মামুদ হোসেন সিপিএম থেকে তৃণমূল ফিরলেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সামিল ছিলেন পেশা স্কুল শিক্ষক মামুদ হোসেন। ২০০৮-১৩ সাল তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি ছিলেন। ২০১৩-১৬ সাল জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। ২০১৬ সালে তৃণমূলে বিদ্রোহী হয়ে বামফ্রন্টের শরিক ডিএসপির টিকিটে এগরা থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। এরপর যোগ দেন সিপিএমে। কিন্তু, গতকাল মেদিনীপুরের জনসভায় অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে উঠতেই একে একে শুভেন্দু বিরোধিরা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই তালিকায় প্রথম সংযোজন মামুদ।

তৃণমূলে ফিরে মামুদ হোসেন বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী একা বিজেপিতে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ, একজন পুরসভার চেয়ারম্যান তলে তলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তাঁরা একই পরিবারের মানুষ, শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে বিবেচনা করবেন। তাঁর ছোট ভাই যিনি এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, তিনি প্রকাশ্যেই বিজেপির হয়ে মিটিং মিছিল করেছেন, ওকালতি করছেন। কৌশলগত কারণেই তাঁরা দলত্যাগ করছেন না। দুজন সাংসদ, দলত্যাগী আইনে পড়ে যাবেন বলেই তৃণমূলে আছেন। ওরা কেউ এখন আর তৃণমূলে নেই।"

অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বিরোধিতার জেরেই মামুদ হোসেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক বিধানসভা আসন থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়। এদিন নিজের আসন বদলের জন্য নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেন সৌমেন মহাপাত্র। অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরাও কি গোপনে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যদিও, আমি পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ। কিন্তু ২০১৬ সালে কারও কারও আঙ্গুলিহেলনে আমাকে আমার আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মামুদ হোসেন যা বলেছেন, তা অবশ্যই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিবেচনা করবেন। তবে যে এলাকা অধিকারী গড় বলে পরিচিত, সেই এলাকায় আবার ধস নেমেছে। "

আরও পড়ুন: এ বার মমতাকে ফোন পওয়ারের, পাশে থাকার বার্তা, আসবেন প্রচারেও

আরও পড়ুন: শুভেন্দু ছাড়ায় তৃণমূলের মতো বড় দলের কিছু যায় আসে না, মন্তব্য সুব্রতর

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy