ফাইল চিত্র।
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। সোমবারও এক দিনে রাজ্যের ৫ জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। বৃষ্টি বা ঝড়ের পূর্বাভাস যখন পাওয়া যাচ্ছে অনেক আগেই থেকেই, বাজ পড়ার ক্ষেত্রে তেমন কি কোনও পূর্বাভাস ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না তা হলে?
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, কোথায় বাজ পড়বে তার পূর্বাভাসের জন্য রাজ্য সরকার একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করে ২০১৫ সালে। আমেরিকার নিউ ইয়র্কের একটি সংস্থার সঙ্গে এই চুক্তি করে সল্টলেকের একটি সংস্থা। তারাই মূলত রাজ্যের ৭-৮টি জায়গায় ‘লাইটনিং ডিটেক্টর’ বসিয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, হাওড়া, আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সেগুলো বাজ পড়ার ১০ মিনিট আগে পূর্বাভাস দিচ্ছে। আবার অনেক সময় বাজ পড়ার পর সেই বার্তা দিচ্ছে। ফলে এত কম সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকছে না।
জাভেদ আরও জানান, যে সব জায়গায় যন্ত্রগুলো বসানো রয়েছে সেখান থেকে তথ্য প্রথমে সল্টলেকের অফিসে আসে। সেখান থেকে সেই তথ্য যায় নিউ ইয়র্কের সেই সংস্থায়। সেখানে বিশ্লেষণের পর সেই তথ্য ফের সল্টলেকের অফিসে আসে। তার পর তারা রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে পাঠায়। ফলে এই তথ্য বিশ্লেষণ করতেই দীর্ঘ সময় চলে যাচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে বাজ পড়ার কিছু ক্ষণ আগে সেই তথ্য এস পৌঁছচ্ছে বা কখনও কখনও বাজ পড়ার পর। কিন্তু বাস্তবে বাজ পড়ার ২ ঘণ্টা এই তথ্য আসার কথা বলে জানিয়েছেন জাভেদ।
আরও একটা কারণ হল, এই যন্ত্রগুলো বিশাল এলাকা জুড়ে পূর্বাভাস দেয়। নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ধরে নয়। ফলে সে ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নিতে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর পরই জাভেদ প্রশ্ন তুলেছেন, সঠিক সময়ে যদি তথ্যই না পাওয়া যায় তা হলে এই প্রজেক্ট এগিয়ে লাভ কী? এটা যদি সফল হত তা হলে পুরো রাজ্যেই এই যন্ত্র লাগানোর কথা ভাবা হত। কিন্তু সঠিক সময়ে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেই এই প্রজেক্ট পুনর্নবীকরণ করানো হয়নি। অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন জাভেদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy