প্রতীকী ছবি।
আগে ছিল ১১টি পৃথক আবেদনপত্র। তাতে বহু রেশন উপভোক্তাই সমস্যায় পড়তেন। তাঁদের ঝামেলার সুরাহা করতে এ বার একটি আবেদনপত্রেই রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। উপভোক্তাদের স্বার্থে অনলাইনের ক্ষেত্রেও একটি আবেদনপত্রই কার্যকর করছে রাজ্যের খাদ্য দফতর।
গোটা পরিবারের জন্য ভর্তুকিযুক্ত রেশনের খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের আবেদন তো করতেই হয়। সেই সঙ্গে রেশন প্রাপকের তালিকায় পরিবারের কাউকে যুক্ত করতে, ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে, রেশন কার্ডে যে-কোনও রকম সংশোধন বা রেশন কার্ডের গোত্র পরিবর্তন করতে, রেশন দোকান বদলাতে হলেও আবেদন করতে হয় আলাদা আবেদনপত্রে। তা ছাড়াও হারিয়ে যাওয়ায় নতুন কার্ড পেতে, গোটা পরিবার বা পরিবারের কেউ অন্য জায়গায় চলে গেলে, এমনকি রেশন কার্ড ছেড়ে দিতে হলেও আবেদন করতে হয় উপভোক্তাদের। এই সব বিষয়ে আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই উপভোক্তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। নতুন ব্যবস্থায় আর আলাদা আলাদা ফর্ম খুঁজতে হবে না প্রাপকদের।
খাদ্য দফতরের বক্তব্য, কোন পরিষেবার জন্য কোন অংশ পূরণ করতে হবে, নতুন আবেদনপত্রে তা উল্লেখ করা আছে। খাদ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে রাজ্যের প্রতিটি ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগের কাজ চলছে। তাতে এক দিকে যেমন ভুয়ো বা ভুতুড়ে উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, তেমনই ন্যায্য উপভোক্তাদের রেশনসামগ্রী নিশ্চিতও করতে পারছে সরকার। আবার আধার কার্ড সংযোগের সময় যোগ্য উপভোক্তাদের অনেকেরই কার্ডে নানা ধরনের ভুল ধরা পড়ছে। তার সংশোধন জরুরি। এই অবস্থায় অভিন্ন আবেদনপত্র চালু হওয়ায় সেই কাজ আরও দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy