—নিজস্ব চিত্র।
সরকারি নির্দেশ, সুন্দরবনের নদী খাঁড়ি এলাকায় চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ। পাশাপাশি, ১৫ এপ্রিল থেকে ৬১ দিন নদীতে কেউ মাছ ধরতে পারবেন না। তবে সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চোরা পথে নদী এবং খাঁড়ি এলাকায় অবাধে মাছ ধরছেন কয়েক জন মৎস্যজীবী। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মাছের আড়তগুলিতে চলছে পাইকারি দরে মাছ কেনাবেচা। তাতে রাতারাতি লক্ষপতি হচ্ছে মৎস্যজীবীরা।
প্রশাশন সূত্রে খবর, এই সময় নদী এবং সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়ারা ডিম পাড়ে। মাছ-কাঁকড়ার প্রজন্মকে রক্ষা করতেই সরকারি নির্দেশে এ সময় ওই জায়গায় সেগুলি ধরা নিষিদ্ধ। অভিযোগ, সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। জেলার বেশ কিছু মাছের আড়তে প্রকাশ্যেই চলছে নদীর মাছের পাইকারি কেনাবেচা। রবিবার রাতে জেলার ক্যানিং থানার মাছের আড়তে প্রায় দেড়শো কুইন্টাল ভোলা মাছ আসে। যার পাইকারি দাম ওঠে কেজি প্রতি ৯৩০ টাকা করে। ফলে পাইকারি দরে কয়েক লক্ষ টাকায় সেগুলি বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি এলাকার অন্তত আট জন বাসিন্দা তথা মৎস্যজীবী পাঁচ দিন আগে দু’টি বোট নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের জালে প্রায় দেড়শো কুইন্টাল ভোলা মাছ উঠেছে। এক একটি ভোলা মাছের ওজন প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে। সেগুলি পাইকারি দরে বিক্রি করেই লক্ষপতি হয়েছেন বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবী। কী ভাবে এ সময় মাছ ধরছেন মৎস্যজীবীরা? মাছের আড়তগুলিতেই বা পাইকারি দরে কেন মাছ বিক্রি হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতরের দাবি, সুন্দরবনের নদীগুলিতে এখন মাছ ধরার অনুমতি নেই। যদি চোরাপথে গিয়ে কেউ মাছ ধরে থাকেন, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy