প্রতীকী ছবি।
নগরায়ণের অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে বর্জ্য বাড়ছে। কিন্তু তার পুনর্ব্যবহারের উপযুক্ত বন্দোবস্ত হয়নি। বর্জ্যের ঠেলা সামলাতে অগত্যা আসরে নামতে হচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে!
কঠিন বর্জ্য কী ভাবে সামলাতে হবে, গোটা দেশে এক লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যার সব পুরসভাকে এপ্রিলে সেই নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতের প্রধান বেঞ্চ। বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ, ডাস্টবিন বসানো, রাস্তার বর্জ্য সাফাইয়ের পাশাপাশি প্লাস্টিক বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে তাতে। নির্দেশ রূপায়ণে হাতে আছে ছ’মাস সময়। পরিবেশ ও পুর দফতরের খবর, তার মধ্যে কাজ শেষ না-করলে পরিবেশ আদালতে বিপদে পড়তে হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জরিমানার মুখেও পড়তে হতে পারে পুরসভাগুলিকে।
কাজ যাতে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়, সেই বার্তা দিতেই আটটি পুরসভার প্রধানদের নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসার কথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। সরকারি সূত্রের খবর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিন বড় শহর বিধানননগর, দুর্গাপুর ও আসানসোল এবং পাঁচটি ছোট শহর বৈদ্যবাটী, উত্তরপাড়া, রিষড়া, কল্যাণী ও হলদিয়াকে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই আট পুরসভার প্রধানদের নিয়ে বসছেন পুরমন্ত্রী। উত্তরপাড়া, বিধাননগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের গোড়ায় বাকি ১২৫টি পুরসভায় কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। ওই সব পুরসভার প্রধানদের নিয়েও কিছু দিনের বৈঠক হতে পারে।
পুর দফতরের একটি সূত্র বলছে, শীর্ষ আধিকারিকেরা এর আগে ওই আটটি পুরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজের গতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন। তাতে খুব একটা ‘কাজ’ হয়নি। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই কাজ সময়ে শেষ না-হলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হতে পারে।’’ অন্য এক কর্তার কথায়, ‘‘জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা কিছু বললে কড়া বার্তা যায়।’’
পরিবেশ ও পুর দফতরের সূত্র বলছে, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কঠিন বর্জ্যকে পৃথক করতে হবে। অর্থাৎ আলাদা করতে হবে জৈব এবং অজৈব বর্জ্যকে। অজৈব বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্যের চাপও বেড়েছে। সেই বর্জ্য কোথায় রাখা হবে এবং কী ভাবে রাখা হবে, তার কোনও পরিকল্পনা এত দিন ছিল না। অনেক জায়গায় কোনও বড় মাপের খোলা জমিতে ভাগাড় তৈরি করে সব বর্জ্য ডাঁই করা হত। পরিবেশ বিধি অনুযায়ী ভাগাড়ে বর্জ্য ডাঁই করা যাবে না। ‘‘ভাগাড়ের মিথেন গ্যাস আশপাশের বায়ু বিষিয়ে দিচ্ছে,’’ বলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy