পার্থ ছাড়াও ফিরহাদের মন্তব্য নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘ফিরহাদ হাকিম সিনিয়র নেতা। ওঁর কথাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি দলের কারও উপর দুর্নীতির দায় চাপাইনি।’’
ফিরহাদের সমর্থন পার্থকে। সুর বদলালে কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়ে সতীর্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তার পরেই এই বিষয়ে সুর বদল করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের এমন নির্দেশ প্রসঙ্গে শুক্রবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে থাকলেও তাঁর কথা থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন কুণাল যেন দায় ঠেলে দিচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর দিকে। কুণাল তখন বলেছিলেন, ‘‘দলের মহাসচিব তথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারবেন।’’ তাই স্বাভাবিকভাবেই শুক্রবার ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হয়, এর ফলে কি দলের অভ্যন্তরে আড়াআড়ি বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এল?
জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কোনও আড়াআড়ি ভাঙন নয়। কুণাল মন্ত্রিসভার সদস্য নন। আমাদের সব দায়িত্ব যৌথ। আমি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য। পার্থদাও মন্ত্রিসভার সদস্য। তাই বিষয়টা পার্থদার একার নয়।’’ সতীর্থ শিল্পমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘এত বড় মন্ত্রিসভা। কোথায় কী ঘটছে, সব মন্ত্রীর পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমিও কলকাতা পুরসভা দায়িত্বে। কিন্তু অ্যাসেসমেন্টের কোথায় কে ঘুষ নিচ্ছে, তা আমার জানা সম্ভব নয়। কোথায় বেনিয়ম হচ্ছে, কোথাও ভুয়ো লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, তা আমাদের পক্ষে সব সময় জানা সম্ভব হয় না। পার্থদার সঙ্গে এসএসসির এই বিষয়টির কী সম্পর্ক রয়েছে?’’
আর তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে সুর বদল করেন কুণাল। শনিবার পার্থর নাকতলার বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘‘পার্থদা দীর্ঘদিনের বন্ধু, সতীর্থ। সুখে-দুঃখে আমরা একে অপরের পাশে থাকি। বাড়ি যাওয়া কোনও নতুন ব্যাপার নয়। আজ তাঁর বাড়ি যাব, এটা জানিয়েছিলাম। তবে তাঁর এক জন আত্মীয় বিয়োগ হয়েছে। তাই উনি বাইরে চলে গিয়েছেন। আর এসএসসির বিষয় সরকারি। আমি দলের হয়ে কিছু বলব না। এ বিষয়ে যা বলবেন, পার্থদারাই বলবেন।”
পার্থ ছাড়াও ফিরহাদের মন্তব্য নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘ফিরহাদ হাকিম সিনিয়র নেতা। ওঁর কথাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি দলের কারও উপর দুর্নীতির দায় চাপাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy