প্রতীকী ছবি।
অবশেষে মুক্তি। করোনা-শৃঙ্খল থেকে মুক্তি শিক্ষার, মুক্তি শিক্ষার্থীর, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আর শিক্ষাঙ্গনেরও। আপন আপন স্কুলে কাল, বুধবার থেকে ফিরতে পারবে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরাও। এবং কোনও ভাগাভাগি বা দফায় দফায় হাজিরা নয়। সোম থেকে শনিবার সব পড়ুয়াই যেতে পারবে ক্লাসে।
করোনাকালের সুদীর্ঘ গৃহবন্দিদশা থেকে প্রথম মুক্তি মিলেছিল ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-এ। কিন্তু নিজের স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ফেরার রাস্তা তখনও ছিল বন্ধ। সোমবার নবান্ন থেকে জারি করা কোভিডের নিয়ন্ত্রণ বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় সেই বাধা সরিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার থেকে পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে স্কুল। ওই দিন থেকে পাড়ায় শিক্ষালয় বন্ধ। প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীরাও ওই দিন থেকে ফিরবে ক্লাসঘরে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হবে। মিড-ডে মিল দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ করতে হবে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। খুলে যাচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি এবং আইসিডিএসের সমস্ত কেন্দ্র। খুলছে এসএসকে এবং এমএসকে-ও। নবান্ন ৩ ফেব্রুয়ারিই জানিয়েছিল, অষ্টম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা স্কুলে ক্লাস করতে পারবে। এ দিনের নির্দেশের পরে স্কুলশিক্ষার বন্ধনমুক্তি সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
বেসরকারি স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষও এ দিন জানান, সরকারি নিয়ম মেনে তাঁরাও স্কুল খুলছেন। তবে ১৬ তারিখ থেকেই অফলাইনে ক্লাস হবে কি না, বার্ষিক পরীক্ষা কী ভাবে (অনলাইন না অফলাইন) হবে, তা ঠিক করে খুব শীঘ্রই অভিভাবকদের জানানো হবে।
কোভিডের দাপটে স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০২০ সালের ১৬ মার্চ। নবম-দ্বাদশ, এই চার শ্রেণির জন্য স্কুল খুলেছিল ২০২১-এর ১২ ফেব্রুয়ারি। করোনার দাপটে ফের স্কুল বন্ধ হয় ১৯ এপ্রিল। নবম-দ্বাদশের পড়ুয়াদের জন্য আবার স্কুল খোলে ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর। তৃতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় স্কুল বন্ধ হয় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি।
গত দু’বছরে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খোলেনি এক বারও। তাদের জন্য সম্প্রতি ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলের বাইরে খোলা জায়গায় ক্লাসের অনুমতি দেওয়া হয়। এত দিনে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার অনুমতি পেয়ে খুশি ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
নবম থেকে দ্বাদশের স্কুল খোলার সময়কার আচরণবিধি মেনেই স্কুল ও হস্টেল খুলতে হবে বলে এ দিন এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। একটি বেঞ্চে দু’জনের বেশি বসা যাবে না। স্কুলে মাস্ক পরে আসতে হবে। স্কুল খোলার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক হবেন নোডাল অফিসার।
সব ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সব শিক্ষক সংগঠনই। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন নবকুমার কর্মকার বলেন, “যারা স্কুলছুট হয়ে গিয়েছে, তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে।” ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক বলেন, “বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার সর্বস্তরে ফি মকুব করতে হবে। শিক্ষার ব্যয়ভার নিক সরকারই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy