—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তরুণী চিকিৎসকের দেহের দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের ঝুঁকি নির্মূল করতে পুলিশ-প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ চেষ্টার কসুর করেনি বলে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের দেহ ময়না তদন্তের পরে তা হাসপাতাল থেকে বার করে দাহ পর্যন্তও এক বিধায়ক ও কাউন্সিলর আড়ালে থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি ।
প্রসঙ্গত, দাহ করার জন্য দেহ বার করার সময়ে বাধা দিয়েছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেত্রীরা। দাহকাজ দ্রুত সেরে ফেলায় মৃতার পরিজনেরও ঘোর আপত্তি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ৯ অগস্ট বিকেল ৪টের পরে এক বিধায়কের মোবাইলে তাঁর পরিচিত সাংসদের ফোন আসে। ওই বিধায়ক জনৈক কাউন্সিলর এবং ওই এলাকার একাধিক রাজনৈতিক কর্মীকে ফোন করেন বলেও সিবিআই সূত্রের দাবি। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, এর পরে ডাক্তার-ছাত্রীর কয়েক জন প্রতিবেশী, আত্মীয়ের সঙ্গেও সেই নেতা, জনপ্রতিনিধিদের যোগাযোগের সূত্র মিলেছে। তদন্তকারীদের সূত্রে আরও দাবি, মৃতদেহ দাহ হওয়া পর্যন্ত ওই বিধায়কের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও শ্মশানের আশপাশেই ছিল। শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এলাকা ছাড়েন বলে মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, “চিকিৎসক ছাত্রীর মা, বাবার সঙ্গে বার বার কথা বলে মৃতদেহ দাহ করা পর্যন্ত কারা সেখানে ছিলেন, জানার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই প্রবীণ দম্পতির বয়ান লেখা হয়েছে। যাঁরা ওই সময়ে ওখানে ছিলেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে মোবাইল নম্বরের নথিও বিশ্লেষণ করেছি। তাতে নানা তথ্য উঠে আসছে।”
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ময়না তদন্ত এবং মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। ময়না তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির ছবি এবং মৃতার দেহের ক্ষতের খুঁটিনাটি বিবরণ সিবিআই সন্তোষজনক মনে করছে না বলেও ওই সূত্রের দাবি। তা ছাড়া, তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থল সংরক্ষণ নিয়ে কলকাতা পুলিশের ভূমিকাও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয় বলে তদন্তকারীদের অভিমত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy