Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Calcutta High Court

‘ছেলেকে কলেজে যেতে দিন!’ তাঁর ‘মুক্তি’ চেয়ে হাই কোর্টে বিবাহবিচ্ছিন্ন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা প্রাক্তন স্বামীর

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে মামলাকারীর। তিনি কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী থাকেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। সেখানে স্ত্রীর কাছে থাকেন তাঁর পুত্র। পুত্রের বয়স এখন ২১ বছর।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫৫
Share: Save:

প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে কলেজে যেতে দিচ্ছেন না! পুত্রের ঘরে তালা দিয়ে রেখেছেন মা। এমনকি, তাঁর উপর মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাবা। তিনি পুত্রের ‘মুক্তি’ চেয়ে আবেদন করেছেন উচ্চ আদালতে। বাবাকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শুনবে।

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে মামলাকারীর। তিনি কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী থাকেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। সেখানে স্ত্রীর কাছে থাকেন তাঁর পুত্র। পুত্রের বয়স এখন ২১ বছর। তিনি ইঞ্জিনিয়ার হতে চান। বাবার দাবি, পুত্রের মা তা চান না। তাই মাকে লুকিয়ে পুত্রের পড়াশোনার বন্দোবস্ত করেন তিনি। চলতি বছর রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন ওই যুবক। মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়াংরিং কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

হাই কোর্টে করা মামলায় বাবার বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পুত্রের ভর্তির খবর শুনেই ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করতে শুরু করেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। পুত্রকে ঘরবন্দি করে রাখেন। তাঁর ঘরে তালা দিয়ে রাখেন। মহিলার বক্তব্য, তাঁর সন্তান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাবেন না। তাঁকে কল্যাণীর কলেজে পড়তে হবে। মামলাকারীর অভিযোগ, কল্যাণীর ওই কলেজে জোর করে পুত্রকে ভর্তিও করিয়ে দেন মা। তার পরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবকের বাবা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ‘পুত্র’-কে মুক্ত করা হোক। তিনি যাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে যেতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। পিটিশনে তিনি আরও দাবি করেছেন যে, পুত্রের মোবাইল নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন মা। যুবককে তাঁর মোবাইল ফেরত দেওয়া হোক। তাঁকে কলেজে পাঠানো হোক। শুক্রবার হাই কোর্টে মামলাটির শুনানি।

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Engineer College Divorce
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE