Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
ED Raids

‘বিশ্বজিৎ বাড়ি আছেন?’ ইডি এসেছে শুনে ‘উধাও’ রেশন ডিলার, বন্ধ ফোনও! শান্তিপুরে টানটান উত্তেজনা

বুধবার সকাল থেকে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান শুরু করে ইডি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি দল হানা দিয়েছে। ইডির একটি সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়া-সহ মোট ১৪টি জায়গায় অভিযান চালায় তারা।

এই দোকানে অভিযানের কথা শুনেই রেশন ডিলার বিশ্বজিৎ কুন্ডু দোকান বন্ধ করে বেপাত্তা হয়ে যান বলে অভিযোগ।

এই দোকানে অভিযানের কথা শুনেই রেশন ডিলার বিশ্বজিৎ কুন্ডু দোকান বন্ধ করে বেপাত্তা হয়ে যান বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৯
Share: Save:

কয়েক কিলোমিটার দূরে অন্য একটি রেশন ডিলারের দোকানে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে ওই অভিযান। সেই খবর পেয়েই ঝটপট দোকান এবং গুদাম বন্ধ করে বেপাত্তা হয়ে যান নদিয়ার শান্তিপুরের ব্রহ্মতলা এলাকার রেশন ডিলার বিশ্বজিৎ কুন্ডু। কয়েক ঘণ্টা মোবাইলও সুইচ অফ করে রাখেন। অন্য দিকে, স্থানীয় থানার পুলিশের মাধ্যমে রেশন ডিলারের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বিশ্বজিতের কোনও খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবারের মাধ্যমে তাঁকে বার্তা পাঠায় ইডি। তার পরেও সাড়া মেলেনি। কিন্তু নাছোড়বান্দা তদন্তকারীরাও। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তাঁরা। শেষমেশ নিজের দোকানে ফেরেন রেশন ডিলার বিশ্বজিৎ। সঙ্গে নিয়ে আসেন নথিপত্র। ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নে বিশ্বজিতের দাবি, ব্যক্তিগত এবং জরুরি কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি।

বুধবার সকাল থেকে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান শুরু করে ইডি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি দল হানা দিয়েছে। ইডির একটি সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়া-সহ মোট ১৪টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে তারা। তাদের একটি দল গিয়েছিল নদিয়ার শান্তিপুর এলাকায়। শান্তিপুর, হরিপুর, মাঝেরপাড়া ইত্যাদি এলাকা ঘোরেন ইডির আধিকারিকেরা। জনৈক রাজেন্দ্র প্রামাণিকের ‘ন্যায্য মূল্যের রেশন দোকান’-এ হানা দেন। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছিলেন। দফায় দফায় তল্লাশি চলে রেশন ডিলারের বাড়ি, দোকান এবং গুদামে।

তদন্তকারীদের অন্য একটি দল রওনা হয়েছিল শান্তিপুর ব্রহ্মতলা এলাকার বিশ্বজিতের রেশন দোকানে। কিন্তু দোকানের সামনে গিয়ে তাঁরা দেখেন শাটার বন্ধ। গুদামেও তালা দেওয়া। সূত্রের খবর, বার কয়েক ওই রেশন ডিলারের মোবাইল নম্বরে কল করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু প্রতি বারই ফোন ‘সুইচড অফ’ পাওয়া যায়। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পরে রেশন ডিলারের বাড়িতেও পৌঁছে যান আধিকারিকেরা। কিন্তু সেখানেও পাওয়া যায়নি দোকানমালিককে। পরিবারের সদস্যেরা জানান, ব্যক্তিগত কাজে বাইরে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন, কেউ জানেন না। অগত্যা অপেক্ষা এবং অপেক্ষা।

টানা পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষায় ছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। শেষমেশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বজিৎ। পরে তাঁর দোকান এবং গুদামের তালা খুলে তল্লাশি করেছে ইডি। প্রয়োজনে আবার ওই রেশন ডিলারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযান এবং তাঁর হঠাৎ ‘উধাও’ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত জরুরি কাজে হঠাৎ বেরিয়ে যেতে হয়েছিল। কাজ সেরে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে এসেছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy