মধ্যাহ্নভোজে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
মাটির দেওয়ালের ঘর। খড় ও অ্যাসবেস্টসের চালের উপরে প্লাস্টিক দিয়ে কোনও মতে চলে জল আটকানোর চেষ্টা। বুধবার বিষ্ণুপুরের হিংজুড়ি গ্রামের প্রান্তিক চাষি সত্যনারায়ণ পালের সেই বাড়িতে ‘মুষ্টিভিক্ষা’ কর্মসূচিতে এসে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। তাঁকে হাতের কাছে পেয়েও ঘরের আর্জি জানাতে না পেরে হতাশ সত্যনারায়ণবাবু।
এ দিন বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রামে ‘মুষ্টিভিক্ষা’ কর্মসূচিতে যোগ দেন মন্ত্রী। পরে সত্যনারায়ণবাবুর বাড়িতে স্যালাড, মুগের ডাল, মাছ, বাঁধাকপি, শুক্তো, পোস্তর বড়া, মাংস ও চাটনি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরে সত্যনারায়ণবাবু বলেন, “মন্ত্রী আমাদের ভাঙা ঘরে এসেই খাবার খেলেন। এটা আমাদের গর্বের।’’ বাড়ির এমন অবস্থা কেন? তিনি বলেন, ‘‘ধার-দেনা করে চাষবাস করতে হয়। বাড়ি মেরামতের সামর্থ্য কোথায়? সরকারি ভাবে বাড়ি পাওয়া আমাদের কাছে স্বপ্ন।” পরে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী ভাবে তা করছে, এ বাড়ি দেখেই বোঝা যায়।”
জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঝাড়খণ্ডে তো এক হাত অন্তর একটা করে ঝুপড়ি। আর বিষ্ণুপুরে এসে বিজেপির মন্ত্রীকে ২০-২৫ কিলোমিটার যেতে হল ঝুপড়ি খুঁজতে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাস হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।’’ বিডিও (বিষ্ণুপুর) শতদল দত্ত জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy