ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বছরই কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী বাড়ছে। বাড়তি যাত্রীদের জায়গা দিতে বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রয়োজন। অথচ কলকাতা বা তার আশেপাশে বিকল্প বিমানবন্দরের জন্য রাজ্য সরকার জমি দিতে পারবে না বলে কলকাতায় ঘুরে যাওয়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অরবিন্দ সিংহকে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। বিকল্প হিসেবে দুর্গাপুরের অণ্ডাল বিমানবন্দরকে ব্যবহার করার জন্য রাজ্য যে-প্রস্তাব দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তা মানতে রাজি নয়।
তা হলে কী হবে? মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফোনে অরবিন্দ বলেন, ‘‘আমরা তো জমির ব্যবস্থা করতে পারব না। রাজ্যকেই করতে হবে। রাজ্য যদি দিতে না-পারে, একটা সময়ের পরে কলকাতা বিমানবন্দরের প্রসারণ বন্ধ হয়ে যাবে। অণ্ডাল কিছুতেই কলকাতার বিকল্প বিমানবন্দর হতে পারে না।’’
এখন কলকাতা বিমানবন্দরের যে টার্মিনাল রয়েছে, তার যাত্রী-ধারণের ক্ষমতা বছরে দু’কোটি ৬০ লক্ষ। এখন বছরে দু’কোটি ৩০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন কলকাতা দিয়ে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগামী দিনে বর্তমান টার্মিনাল সম্প্রসারণ করা হবে। রানওয়ে এবং টার্মিনালের ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে আরও কিছু বছর চলবে। ২০১৪ সালে এক কোটি যাত্রী ছিল। সেটা পাঁচ বছরের মধ্যে বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বেতনে বৈষম্য কেন, প্রশ্ন শিক্ষক-ধর্নায়
বিমানবন্দরের কর্তাদের মতে, এই হারে যাত্রী বাড়তে থাকলে আগামী দিনে আরও উড়ান সংস্থাকে জায়গা দিতে বিকল্প বিমানবন্দরের প্রয়োজন। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ-সহ সব বড় শহরে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সমস্যা শুধু কলকাতা নিয়ে। অরবিন্দ বলেন, ‘‘গত ডিসেম্বরেই বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী ভিডিয়ো-সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। রাজ্যের তরফে তখনও জানানো হয়, জমি দেওয়া যাবে না। আমি কলকাতায় গেলে আমাকেও স্পষ্ট করে এটা বলে দেওয়া হয়েছে।’’
অরবিন্দের অভিযোগ, বিকল্প হিসেবে যে-অণ্ডালের কথা বলা হচ্ছে, তার দূরত্ব কলকাতা থেকে ১৮০ কিলোমিটারেরও বেশি। বিশ্বের সর্বত্র বিকল্প বিমানবন্দর তৈরি হয় মূল বিমানবন্দরের ৫০-৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। যাতে যাত্রীরা মূল বিমানবন্দরে নেমে বিকল্প বিমানবন্দর থেকে সংযোগকারী উড়ান ধরতে পারেন। ‘‘কলকাতার ক্ষেত্রে সেটা অণ্ডাল হতে পারে না। হাইস্পিড করিডর বানিয়ে কলকাতা থেকে দ্রুত অণ্ডালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে বলা হচ্ছে। সেটাও সম্ভব নয়,’’ বলেন অরবিন্দ। কর্তাদের মতে, কলকাতা থেকে সেতু মারফত হাইস্পিড রেললাইন পাততে হলেও তো জমির প্রয়োজন। এখান থেকে ১৯০ কিলোমিটার লম্বা সেতু বানানোর খরচও আকাশছোঁয়া।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy