প্রতীকী ছবি
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ ভাবমূর্তি প্রচার করতে মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। মোদীর ওই সভার দিনই জেলায় জেলায় কৃষকদের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের পলিটব্যুরো বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ধান-সহ অন্যান্য ফসলের ন্যূনতম সহ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে বলে যে দাবি কেন্দ্র করছে, তা মিথ্যা।
বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেন শনিবার বলেন, ‘‘মোদীজি কৃষকদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন। ফলে বিরোধীদের দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে কৃষক কল্যাণ সমাবেশ করবেন মোদীজি।’’ কিসান, খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বেচারাম মান্না জানান, মোদীর সভার দিন জেলায় জেলায় কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তাঁদের সংগঠনের কৃষকরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকেরা আত্মহত্যা করছেন। মধ্যপ্রদেশের পুলিশ যে ভাবে কৃষক হত্যা করেছে, তা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাইয়ের থেকেও নির্মম। এর পরে আর ওদের কৃষক-প্রেম দেখাতে
হবে না! কৃষক, শ্রমিকরা জানেন, তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী কে।’’ অভিষেকের বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ২৯টি রাজ্যে কোথাও কেউ সে ভাবে দাঁড়াননি। পশ্চিমবঙ্গে কেমন উন্নয়ন হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী দেখে যান!’’
২১ জুলাই দলের বাৎসরিক ‘শহিদ স্মরণ সমাবেশ’-এর পরে মোদীর পাল্টা সভা করার কথাও ভাবছে তৃণমূল। সিপিএমের বক্তব্য, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে কৃষক বিক্ষোভ দানা বাঁধছে, লোকসভা ভোটের আগে তা প্রশমিত করতে ধান-সহ বিভিন্ন ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
কিন্তু কেন্দ্র যে ভাবে ফসল কেনা কমিয়েছে, তাতে কৃষকরা ফসলের অভাবী বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা আদৌ বর্ধিত সহায়ক মূল্য পাবেন কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং, সিপিএম স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার দাবিতে সমস্ত কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকবে এবং কেন্দ্রের ‘মিথ্যাচার’ জনসমক্ষে তুলে ধরবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy