(বাঁ দিকে) জরিনা মোল্লা। রেণু খাতুন (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
২০২২ সালের জুন মাস পূর্ব বর্ধমানের রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনার স্মৃতি ফিরে এল ২০২৪ সালের মার্চে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক গৃহবধুর হাত কেটে ফেলার অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। বাসন্তী থানার শ্রীরামপুর এলাকার ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন জরিনা মোল্লা নামে বছর ৩০-এর গৃহবধূ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আক্রান্ত মহিলার বাঁ হাত দেহ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গিয়েছে। পায়ের শিরাও কেটে দেওয়া হয়েছে এবং পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শাহজাহান মোল্লা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। সপ্তাহখানেক আগে দু’জনের মধ্যে তালাক হয়ে যায়। এর পর রবিবার সকালে আচমকাই হামলা হয় জরিনা মোল্লার উপরে।
প্রসঙ্গত, কাটোয়ার রেণুর ক্ষেত্রেও এমন ভাবেই আক্রমণ হয়েছিল। তবে পুরো হাত নয়, রেণুর ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরে রেণুর হাত প্রতিস্থাপন হয়। সেই সময়ে পুলিশ জানিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তালগ্রামের এক তুতোভাই ও তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে রেণুর হাত কাটার পরিকল্পনা করেন স্বামী শের মহম্মদ। সে অনুযায়ী, ৪ জুন রাতে একটি স্কুটারে শের-সহ চার জন কেতুগ্রামের কোজলসার বাড়িতে পৌঁছন। রাত ১০টা নাগাদ ঘুমন্ত রেণুর মুখ বালিশ দিয়ে চেপে ধরেন শের মহম্মদ। পা চেপে ধরে তাঁর তুতো ভাই। বাকি দু’জনে টিন কাটার কাঁচি দিয়ে রেণুর ডান হাত কাটারির কোপে কব্জি কেটে নেন। রেণুকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে, ‘কাটা হাত’ নিয়ে আসার নাম করে বেপাত্তা হয়ে যান শের। পরে অবশ্য শের গ্রেফতার হন। এখন জেলে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy