প্রতীকী ছবি।
অনেক আগেই নব্বই অতিক্রম করা গিয়েছে। কিন্তু শতরান আর পূর্ণ হচ্ছে না! সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে আর রান আসছে না ব্যাটে। পশ্চিমবঙ্গে ইভিপি বা ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচির অবস্থা এখন এমনটাই। রাজ্যের ৬.৯৮ কোটি ভোটারের মধ্যে এ-পর্যন্ত ৬.৮৩ কোটি (৯৭.৮৭%) ভোটার নাম, ঠিকানা, জন্মের তারিখ, বয়স, সম্পর্কের তথ্য যাচাই করেছেন বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে দু’দফায় ইভিপির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। শুরুতে রাজ্যের সীমান্তের লাগোয়া জেলাগুলিতে এই কর্মসূচি খুব দ্রুত গতিতে এগোচ্ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক জেলা সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলাকে পিছনে ফেলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ইতিমধ্যেই একশো শতাংশ ভোটার এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। ৯৯ শতাংশের বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থেকে কয়েক ধাপ দূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান। ৯৮ শতাংশের বেশি কাজ হয়েছে হাওড়া, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে। সামান্য পিছনে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানকার ৯৭ শতাংশের বেশি ভোটার নিজেদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করেছেন।
সূচনায় দ্রুত গতিতে রান তুললেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদ। শেষ কয়েক দিন সেখানে ইভিপি কর্মসূচির অগ্রগতি ‘সন্তোষজনক’ নয় বলে খবর। এখনও পর্যন্ত সেখানে ৮৯ শতাংশ ভোটারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকলেও স্লগ ওভারে চালিয়ে খেলছে কলকাতা। এখানে ৭৫ শতাংশ ভোটার তথ্য যাচাই করেছেন। কলকাতা উত্তরে ৭৭ শতাংশের বেশি এবং কলকাতা দক্ষিণে ৭৪ শতাংশ ভোটার ইভিপি-তে নিজের জন্মের তারিখ, ঠিকানা, নামের বানান-সহ তালিকায় থাকা তথ্য যাচাই করেছেন।
কলকাতা পিছনে থাকলেও তার অগ্রগতি নিয়ে অনেকাংশে ‘সন্তুষ্ট’ কমিশন। তাদের মতে, কলকাতায় যাবতীয় সুবিধা থাকলেও ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার আগ্রহ কম। ফলে তথ্য যাচাইয়ের ছবিটাও একদা খুব উজ্জ্বল ছিল না। তবে সেই দশা কাটিয়ে এগিয়েছে কলকাতা। কিন্তু মুর্শিদাবাদ প্রায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ইভিপি-র কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ওই জেলার কর্তাদের নতুন করে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তবে শেষ দু’দিন ইভিপি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের অবস্থাও বেশ সঙ্গিন। সেই জন্য তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এই অবস্থায় আদৌ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত কমিশনের কর্তারা। তাঁদের কথায়, ‘‘হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন আছে। সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দেখা যাক, লক্ষ্যপূরণ হয় কি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy