কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে জোড়া টিকাই ছাড়পত্র। ফাইল চিত্র
জোড়া করোনা টিকা নিলেই প্রবেশ করা যাবে গর্ভগৃহে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কালীঘাট টেম্পল কমিটি। করোনা সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউ আগামী অক্টোবর মাসে চূড়ান্ত আকার নিতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এমন পূর্বাভাসই দেওয়ার পরেই, মন্দিরের সেবায়েতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মর্মে সোমবার রাতে বৈঠকে বসে তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুর জেলা বিচারক চৈতালি দাস চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ তথা টেম্পল কমিটির সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। সূত্রের খবর, বৈঠকে আলিপুর জেলা বিচারক মন্দির কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যদের কাছে জানতে চান, সরকারি কোভিডবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা। টেম্পল কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, কোভিড সংক্রমন রুখতে গত এক বছরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের নিজস্ব তহবিল থেকে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে মন্দিরে আসা ভক্তকুলের চাপে বহু ক্ষেত্রেই সেইসব জিনিসের ক্ষতি হয়েছে।
বৈঠকে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে মন্দিরের প্রশাসনিক তথা পুজো সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের জোড়া টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা জোড়া টিকা নেবেন, শুধুমাত্র তাঁরাই কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন। সরকারি কোভিডবিধি যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রেখে চলতে হবে। মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "করোনা সংক্রমণ থেকে মন্দিরে কর্মরত এবং মন্দিরে আগত ভক্তদের জন্য যথেষ্ট সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। করোনা সংক্রমনের যে তৃতীয় ঢেউয়ের কথা বলা হচ্ছে, তার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিয়েছে তা দেখতেই জেলা বিচারক ও সভাপতি বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখনই সাধারণ মানুষকে গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুজো এবং প্রশাসনিক কাজে তারাই গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন যারা দুটি টিকা নিয়েছেন।"
প্রসঙ্গত, কালীঘাট মন্দির পরিচালনার প্রশাসনিক দায়িত্ব আলিপুর জেলা বিচারকের হাতে। তাই তিনি এই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যেই ২২ জুন খুলে দেওয়া হয়েছিল কালীঘাট মন্দিরের দরজা। ২১ জুন কালীঘাট টেম্পেল কমিটির সিদ্ধান্ত নেয়, সকাল ছটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দির। পরে বিকেল চারটে থেকে ছটা পর্যন্ত খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত এখনও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু, তখনও মন্দিরের গর্ভগৃহে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল কমিটি। সংক্রমনের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কোভিড সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত ১৭ মে থেকে কড়া সরকারি বিধিনিষেধ জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনে মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টেম্পল কমিটি। তারপর ধীরে ধীরে অন্য জনজীবন স্বাভাবিক হলে, খোলা হয়েছিল মন্দির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy