পার্বতী বড়ুয়া। —নিজস্ব চিত্র।
ঘর পালানো দস্যি ছেলেকে ঘরে ফেরানোর ক্ষেত্রে ঘরের মেয়ের উপরেই ভরসা রাখছেন পার্বতী বড়ুয়া।
মঙ্গলবার থেকে বেপাত্তা সচিনকে খুঁজতে এ দিন যখন চার হস্তিনী বেঙ্গল সাফারি পার্কে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে, তখন গুয়াহাটিতে বসে হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী জানান, সুন্দরমণি তাঁর ঘরের মেয়ের মতোই। তিনি বলেন, ‘‘সুন্দরমণির মা গজমতি ছিল ইংরেজ আমলের নামকরা কুনকি। বুনো গজমতিকে বশ করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তার মেয়ে সুন্দরমণিও ছোট থেকেই অরণ্য অভিযান দক্ষ। তাই চিতাবাঘকে খুঁজে বের করতে সুন্দরমণির উপরে ভরসা রাখা যায়। ঊর্মিলা, জেনিরাও ভাল হাতি।’’
বস্তুত, সচিনকে খুঁজতে উত্তরবঙ্গ বন দফতর যে চারটি হাতি বেছেছে, তাতে খুশি পার্বতী। অনেকের মতে, সাহসী পুরুষ হাতি দিয়েই কুনকির কাজ ভাল হয়। বন দফতরের হাতি মানেই ভাল কুনকি নয়। দফতরের হাতিরা মূলত টহলের কাজই করে। কিন্তু পার্বতীর মতে, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে আর মাহুত দক্ষ হলে যে কোনও হাতিই ভাল কুনকি হয়ে উঠতে পারে।
বন দফতরের অফিসারেরাও জানিয়েছেন, চারটি কুনকি হাতিই পারদর্শী কুনকি। পিঠ থেকে কেউ পড়ে গেলে বা চলার পথে কোনও বন্য জানোয়ার পড়লে তারা আগে থেকে মাহুতকে সতর্ক করে দেয়। চিতাবাঘ খোঁজার ব্যাপারে দক্ষতা এদের যথেষ্ট। বন দফতরের একটি সূত্র আবার এ-ও বলছে, পুরুষ চিতাবাঘ সচিনকে খুঁজতে এই মহিলা হাতিরাই যথোপযুক্ত।
এ দিন শুধু চার হাতিই নয়, একই সঙ্গে ড্রোন উড়িয়েও সচিনকে খোঁজা হয়। কিন্তু হাজার চেষ্টাতেও তার কোনও খোঁজ মেলেনি। রাজ্য চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব বিনোদকুমার যাদব জানান, সিংহিঝোরার কাছে চিতাবাঘের পায়ের চাপ মিলেছে। তাই মনে করা হচ্ছে, তেষ্টা মেটাতে সচিন সেখানে যাচ্ছে। অন্য একটি জায়গা থেকে একটি ছাগলের টোপ তাই ওই এলাকায় এনে বসানো হয়েছে। বন দফতরের আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণীর দেহ মেলেনি বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে সচিন অভুক্ত। সে কারণেই সে কোনও না কোনও খাঁচার সামনে আসবে।
কিন্তু কবে আসবে, তা এখনও সকলেরই অজানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy