Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Election Commission

গোলমেলে লোকের রিপোর্ট চায় কমিশন

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট যৌথ ভাবে কমিশনকে দিতে হয় জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসার (ডিইও) এবং পুলিশ কমিশনার-পুলিশ সুপারদের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৫১
Share: Save:

রাজ্যে হিংসা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগ প্রায় রোজই করছে বিরোধী শিবির। গোলমাল পাকানোয় অভিযুক্ত, অজামিনযোগ্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে খবরাখবর-সহ ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক রিপোর্ট ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পেশ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই এ ভাবে রাজ্যের দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলার খতিয়ান রাখতে চাইছে কমিশন।

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট যৌথ ভাবে কমিশনকে দিতে হয় জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন অফিসার (ডিইও) এবং পুলিশ কমিশনার-পুলিশ সুপারদের। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের গোড়ায় জেলা নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে ভোট-প্রস্তুতির ‘রিভিউ’ বা পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও)। থাকবেন সিইও দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরাও।

সভা, মিছিল, হুঁশিয়ারি, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি— নানা ভাবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়া ‘উষ্ণ’ করে তুলতে কসুর করছেন না বিভিন্ন দলের কর্মী-নেতারা। প্রস্তুতির জন্য কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় মেনে কাজ করছেন জেলা প্রশাসনের অফিসারেরা। এখন থেকে সেই কাজকর্মের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আইনশৃঙ্খলার নানা দিকও। তার মধ্যে আছে: যাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় গোলমাল পাকানোর অভিযোগ বা অজামিনযোগ্য মামলা আছে, তাঁদের অবস্থান কী? তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা কী অবস্থায় আছে? কোন জনপদের কোন বুথ আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে ‘সমস্যা’র? এই সবেরই খতিয়ান ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে পেশ করতে হবে জেলার পুলিশ-প্রশাসনকে। ১০-১২টি প্রসঙ্গের উপরে রিপোর্ট তৈরি করছেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তেরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এখন থেকে আইনশৃঙ্খলার দৈনন্দিন পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে চাইছে কমিশন। আগামী কয়েক মাস নির্দিষ্ট সময় অন্তর এমন রিপোর্ট তৈরি করতে হবে জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে। সেই সব রিপোর্টের ভিত্তিতে ভোট-নিরাপত্তার পরিকল্পনা করবে কমিশন। কর্তা-আধিকারিকেরা বলছেন, ‘‘আগে বা পরের কোনও ব্যাপারই নেই। কমিশন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে বদ্ধপরিকর। তাই সময়োচিত পদক্ষেপ করা হয়।’’ ‘ভালনারেবল’ বা ঝুঁকিপূর্ণ বুথের ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে ২৭ নভেম্বর ডিইও-দের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সিইও-সহ পদস্থ আধিকারিকেরা। সেখানে প্রস্তুতি পর্বের নানান কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy