ছবি: সংগৃহীত।
বদলাতে পারে ভোটার পরিচয়পত্র (এপিক)। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায়।
ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচি (ইভিপি) এবং ভোটার তালিকা সংযোজন সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মহারাষ্ট্র বাদে বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) পাঠায় নির্বাচন কমিশন। গত ১২ অক্টোবরের কমিশনের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নন স্ট্যান্ডার্ড ভোটার পরিচয়পত্র (এপিক) নম্বর বদল করে তা ‘স্ট্যান্ডার্ড’ ১০ ডিজিটের অক্ষর এবং সংখ্যা মিলিত (আলফানিউমারিক) করা হবে। এবং সেটাই হবে ইউনিক নম্বর। কারণ, কোনও ভোটার তাঁর বাসস্থান বদল করলেও ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর একই থাকবে। সে কারণেই পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর ব্যবহার বলে জানাচ্ছে কমিশনের একটি সূত্র।
তবে রাজ্য সরকারের উপরেই এই ভোটার পরিচয়পত্র বদলের প্রক্রিয়া অনেকাংশে নির্ভরশীল। সে প্রসঙ্গ নির্দেশিকাতে উল্লেখ রয়েছে। কারণ, বিপুল ভোটার পরিচয়পত্র একসঙ্গে বদলাতে গেলে অর্থের প্রয়োজন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। সেই অর্থ রাজ্য সরকারের তহবিল থেকেই যাবে। সেখান থেকে কেমন অর্থ আসবে, তার উপরেই নির্ভর করবে কমিশনের এই ভাবনার ভবিষ্যৎ। কমিশন এই নির্দেশিকা পাঠালেও বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত করা হয়নি বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
পুরনো পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সাধারণত, রাজ্যের নামের সঙ্গে বিধানসভা, লোকসভার নম্বরের সঙ্গে কয়েকটি সংখ্যা দিয়ে ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই ধরনের পরিচয়পত্রগুলিই বদলের পথে হাঁটতে চলেছে কমিশন। একটি সূত্রের মতে, বিধানসভা, লোকসভার নম্বর দেওয়া পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটার অন্যত্র চলে গেলে ওই পরিচয়পত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর এমন ভাবে করা হচ্ছে, যাতে কোনও ভাবেই তা নকল করা যায় না। সে কারণে ১০ ডিজিটের স্ট্যান্ডার্ড পরিচয়পত্রের ভাবনা কমিশনের। পশ্চিমবঙ্গে ‘নন-স্ট্যান্ডার্ড’ ভোটার পরিচয়পত্রের সংখ্যা দু’কোটির অধিক বলেই কমিশনের সূত্রের খবর।
বর্তমানে নতুন ভোটার পরিচয়পত্র ১০ ডিজিটের করা হয়েছে। এমনকি, শেষ ১২-১৩ বছর ধরে প্রথম পরিচয়পত্র পাওয়ার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ১০ ডিজিটের ‘আলফানিউমারিক’ নম্বর দেওয়া পরিচয়পত্রই পেয়েছেন ভোটার। শেষ দু’বছরে যাঁরা পুরনো পরিচয়পত্র বদলেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁদের পরিচয়পত্রের বদলের প্রয়োজনীয়তা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy