ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিভিন্ন কেন্দ্রের বকেয়া উপনির্বাচন অচিরেই হবে বলে ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন। সেই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে ভোটযন্ত্রের (ইভিএম-ভিভিপ্যাট) প্রথম পর্যায়ের যাচাইয়ের জন্য সব রাজনৈতিক দলকে প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে তারা।
ভোটযন্ত্র যেখানে রাখা থাকে, সেই জায়গার দরজা খোলা থেকে ভোট-প্রক্রিয়ার মহড়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে প্রতিনিধিদের। বকেয়া উপনির্বাচনগুলির জন্যই যে এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, চিঠিতে তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। ফলে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহল মনে করছে, ভবানীপুর-সহ সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সম্ভাবনা আরও জোরদার হচ্ছে।
ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার সদস্যা হবেন। তা ছাড়া শান্তিপুর, দিনহাটা, খড়দহ, গোসাবা, কেন্দ্রে উপনির্বাচন বকেয়া রয়েছে। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও স্থগিত থাকা নির্বাচন এ বারেই হওয়ার কথা।
গত ২৭ জুলাই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। এই দিক থেকে সেই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। অনেক আগে থেকেই বকেয়া উপনির্বাচনগুলি সেরে ফেলার ব্যাপারে সরব হয়েছেন মমতা। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসছে, এই যুক্তি দেখিয়ে সরকারের বক্তব্য, সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার আগে স্বল্প সময়ের সুযোগে উপনির্বাচন সেরে ফেলতে প্রস্তুত রাজ্য। নির্ধারিত সময়সীমা মানলে উপনির্বাচনগুলি নভেম্বরের গোড়াতেই শেষ করে ফেলার কথা। প্রশাসনের অন্দরের বক্তব্য, ভোট ঘোষণা এবং ভোটের দিনের মধ্যে কমবেশি ৪৫ দিন হাতে রাখতে হয়। সেই হিসেবে ভোট ঘোষণা হতে খুব বেশি দেরি হওয়ার কথা নয়।
আজ, মঙ্গলবার থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত ভোটযন্ত্র যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চালু থাকার কথা। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকায় যে-সব রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের প্রতিনিধির উপস্থিতি চাই সেখানে। দল সর্বাধিক দু’জন প্রতিনিধিকে মনোনীত করে দিলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচনী অফিসার তাঁদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেবেন। সেটা নিয়ে এক জন ভোটযন্ত্রের প্রথম পর্যায়ের যাচাই প্রক্রিয়া দেখতে পারবেন। অন্য জন দেখবেন ওই যন্ত্রের মহড়া ভোট পর্ব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য, প্রতিটি নির্বাচনের আগে এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে ভোটের নির্ধারিত দিনে রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সামনে আবার ভোটযন্ত্র যাচাই করা হয়। যদিও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতর মনে করিয়ে দিচ্ছে, উপনির্বাচনগুলির কোনও নির্ঘণ্ট তৈরির ইঙ্গিত এখনও তাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy