বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত চরমে। — ফাইল ছবি।
সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে নতুন করে সংঘাত শুরু রাজ্য বনাম রাজভবনের। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁর দাবি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। পোস্টে ব্রাত্য উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে ‘বেআইনি ভাবে’ নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের তা প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও জানিয়েছেন।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি নিয়ে গড়া সন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) নামের তালিকা দেবে এবং আচার্যের (পদাধিকারবলে রাজ্যপাল) অনুমোদনের পর সেই তালিকা থেকে উপাচার্যকে বেছে নেওয়া হবে। এত দিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এটাই ছিল দস্তুর। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপালের আমলে প্রচলিত সেই পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ নবান্নের। এ বার তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম আকার নেওয়ার ইঙ্গিত। সেই ইঙ্গিত দিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রীই।
#HED pic.twitter.com/N4AqOg3V5m
— Bratya Basu (@basu_bratya) June 1, 2023
সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে ব্রাত্যের দাবি, রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য। একই সঙ্গে ব্রাত্যের দাবি, এই নিয়োগ প্রচলিত নিয়মের পরিপন্থী এবং বেআইনি। একে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি বলে ব্যাখ্যা করে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর পরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘বেআইনি ভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।’’ ব্রাত্য দাবি করেছেন, এই খবর তিনি পেয়েছেন সংবাদমাধ্যম মারফত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে, কল্যাণী, বর্ধমান, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সিদো কানহু বিরসা, কাজী নজরুল, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, যাদবপুর, বাঁকুড়া, বাবা সাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার ব্রাত্য টুইটে সেই অন্তর্বর্তী উপাচার্যদেরই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানালেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy